কালীগঞ্জে উপেক্ষিত সরকারি নির্দেশনা যেখানে সেখানে জড়ো হচ্ছেন মানুষ

0

শিপলু জামান, কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) ॥ করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মানুষকে সচেতন করার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু কিছুতেই মানুষকে ঘরমুখো করা যাচ্ছে না। সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রতিনিয়ত মানুষ ঘর থেকে বের হয়ে যেখানে সেখানে জড়ো হচ্ছেন।
এ পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন অনেকেই। করোনা সংক্রমণ নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে সচেতনতামূলক নানা পদপে নেয়া হলেও কালীগঞ্জ উপজেলা পর্যায়ে এ বিষয়ে সচেতনতার অভাব রয়েছে। শহরে অবাধে রিকশা,মোটরবাইক ও ইজিবাইক চলাচল করছে ।
মানুষের মাঝে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে যখন সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য সংস্থা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন তখন কালীগঞ্জ শহরের হাসপাতাল সড়ক, সরকারি এম ইউ কলেজ রোড,কাঁচামাল হাটা , নতুনবাজার , কালীবাড়ী মোড়সহ বাজারগুলোতে মানুষের উপস্থিতি বেড়েই চলছে। বাজার-ঘাট ছাড়াও ব্যাংকে মানুষের ঠাঁসা উপস্থিতি দেখা মিলছে।
মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে শহরের কাঁচামাল বাজারে এলাকায় গিয়ে দেখা যায় ব্যাপক উপস্থিতি। ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড়ে সেখানে পা ফেলা দায়। করোনাভাইরাসের মতো মহামারির কথা ভুলে গেছেন যেন এ বাজারে আসা ক্রেতা-বিক্রেতারা। তাদের কারও কারও মুখে মাস্ক থাকলেও অনেকেই খালি মুখে বেচাকেনা করছেন। বেলা ১১ টায় কালীগঞ্জ শহরের নতুন বাজারে সামনে দেখা যায় টিসিবি পণ্য ক্রয়েরর জন্য , ৫০ জন ষাটোর্ধ মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। একই অবস্থা শহরের ব্যাংকগুলোর সামনের চিত্র। সামনে ঠিক আগের দিনের মতো দীর্ঘ লাইন ল্য করা যায়। কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ বলেন, করোনা সংক্রমণ থেকে মানুষকে সচেতন করতে আমাদের প থেকে মাইকিং, পোস্টার লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে সেনা-পুলিশ সদস্য কাজ করছেন। তারপও কিছু কিছু মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে আসছেন। এসব মানুষকে ঘরমুখি করতে খুব দ্রত সময়ের মধ্যে প্রশাসন কঠোর অব¯’ানে যাবে বলে তিনি দাবি করেন। এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবর্ণারানী সাহা বলেন, কালীগঞ্জ শহরে গ্রামে ইউনিয়ন পর্যায়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করা হচ্ছে সবাইকে যদি বাঁচতে হয় তাহলে ঘর থেকে বের হওয়া যাবে না।