চৌগাছায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে করোনা প্রতিরোধে কল্যাণ তহবিল গঠন

0

এম এ রহিম চৌগাছা (যশোর)॥ যশোরের চৌগাছায় করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জরুরী তহবিল গঠন করা হয়েছে। শনিবার উপজেলা হলরুমে মাসিক উন্নয়নসভা ও করোনা প্রতিরোধে জরুরী সভায় এ তহবিল গঠন করা হয়। এ সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুল ইসলাম। এতে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাঃ নাসির উদ্দীন। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ড. মোস্তানিছুর রহমান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা এসএম হাবিবুর রহমান, সাধারণ স¤পাদক চেয়ারম্যান মেহেদী মাসুদ চৌধরী, পৌর মেয়র নুর উদ্দীন আল মামুন হিমেল। উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান দেবাশীষ মিশ্র জয়।
উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, অফিসার ইনচার্জ রিফাত খান রাজিব, উপজেলার সকল কর্মকর্তা, সকল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানগণ। এ সময় সকলের মতামতের ভিত্তিতে করোনা মোকাবেলায় জরুরী তহবিল গঠন করা হয়। যে তহবিলে সকল দান অনুদান গ্রহণ করা হবে। সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে কেন্দ্রীয়ভাবে উপজেলা প্রশাসন এর সাথে সমন্বয় করে ত্রানবিতরণ কার্যক্রম করা হবে। উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি এই কল্যাণ তহবিল তদারকি করবেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় নিশ্চত করতেই ইউনিয়ন চেয়ারম্যানগন ওয়ার্ড ভিত্তিক কমিটি করে স্ব স্ব ইউনিয়নে নিয়োজিত দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশের এস.আই দের সহযোগিতায় কাজ করবেন ।
এ সময় করোনা মোকাবেলায় গঠিত জরুরী তহবিলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক চেয়ারম্যান মেহেদী মাসুদ চৌধুরী ২৫ হাজার, চেয়ারম্যান তবিবর রহমান খান ২১ হাজার ৫০০শ, চেয়ারম্যান ওবায়দুল ইসলাম সবুজ ১০ হাজার, চেয়ারম্যান শেখ আনোয়ার হোসেন ১০ হাজার এবং চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিল বাদল ১০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করেন। এছাড়াও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ড. মোস্তানিছুর রহমান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুল ইসলাম তাদের বেতনের ৫০% তহবিলে দান করেন।
করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুল ইসলাম বলেন, করোনা প্রতিরোধের সার্বিক কার্যক্রমে এই তহবিল ব্যাবহার করা হবে। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি কিছু চিকিৎসা সামগ্রী প্রদান করা হবে। ডাক্তারগনকে তাদের সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সহযোগিতা প্রদান করা হবে, স্বাভাবিক চিকিৎসা কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবেই চলবে। তিনি বলেন, সকল ভ্যান, অটোরিক্সা, সি এন জি, নছিমন জাতীয় যানবাহন বন্ধ থাকবে, শুধুমাত্র রোগীবাহী বাহন ও একান্ত জরুরি প্রয়োজনে দূরত্ব নিশ্চিত করে যাত্রী পরিবহন করা যাবে। মোটরসাইকেলে একজনের বেশি চড়া যাবে না। তবে সকল প্রকার পন্য পরিবহন স্বাভাবিক থাকবে। ৭। উপজেলার সমস্ত হাট বন্ধ থাকবে, কোন প্রকার লোক সমাগম করা যাবে না। সকল নির্দেশনা যথাযথভাবে মেনে চলুন, নিজে নিরাপদ থাকুন, মানুষকে নিরাপদ রাখুন।