শরণখোলায় করনার মাঝে ডেঙ্গু আতংক

0

শরণখোলা (বাগেরহাট) সংবাদদাতা॥ বাগেরহাটের শরণখোলায় একটি বদ্ধ খালের দুষিত পানি ব্যাবহার করে ৫ গ্রামের প্রায় ১০ সহাস্রাধিক মানুষ চরম স্বাস্থ্য ঝুকিতে রয়েছে। করোনা আতংকের সাথে তাদের মাঝে দেখা দিয়েছে ডেঙ্গু ম্যালেরিয়া সহ নানা পানি বাহিত রোগের আতংক।
সরেজমিন জানাগেছে, শরনখোলার ৩৫/১ পোল্ডারের বেড়ীবাধ উন্নয়ন প্রকল্পের সাথে যুক্ত স্লুইসগেট গুলো তৈরীর পর গত প্রায় ১ বছর যাবৎ তা উন্মুক্ত করা হয়নি। ফলে ফলে স্থানীয় খাল গুলোয় পানি আটকা পড়ে তা দূষীত হয়ে পড়েছে। এ অবস্থা উপজেলার দক্ষিন সাউথখালী, চালিতাবুনিয়া, বগী, খুড়িয়াখালী, বকুলতলা সহ পাচটি গ্রামে। এছাড়াও নির্মিত বেড়িবাধের সাথে আরও প্রায় ১৫ টি কালভার্ট নিমির্ত হওয়ার পর তা পানি চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়নি ফলে সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষ চরমভাবে পানি সংকটে ভুগছে। দক্ষিন সাউথখালী গ্রামের সমাজ সেবক মোঃ সিয়াম হোসেন জানান, একদিকে করনা আতংক অপর দিকে মাসের পর মাস খালের পানি পচে এখন ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। তার করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গু আতংকেও রয়েছেন।
একই গ্রামের যুবক সাইয়েদুর রহমান জানান, বিশ্ব ব্যাংকের লোকেরা এবং চায়না ঠিকাদর গোষ্ঠী ইচ্ছা করেই কালভার্ট গুলো বন্ধ করে রেখেছে। এটা আমাদের জন্য এক প্রকার শাস্তি। ওই গ্রামের গৃহবধু মর্জিনা বেগম জানান, দূষীত পানির কারনে তাদের গোসল ও রান্নাবান্নার কাজ বন্ধ। বলেশ্বর নদীতে গিয়ে তাদের পানি আনতে হয়। তারা বিভিন্ন জায়গার দূষীত পানি পান করছেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য জাকির হোসেন জানান, প্রায় এক বছর আগে কালভার্টের কাজ সমপন্ন হয়েছে কিন্ত তা পানি চলাচলের জন্য খুলে না দেওয়া এলাকার প্রায় ১০ কিঃমিটার খালের পানি বিষাক্ত কালচে রং ধারণ করেছে। এলাকার পুকুর গুলোও এখন দিন দিন শুকিয়ে যাচ্ছে। ডায়রিয়া, চর্ম রোগসহ নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। কালভার্ট খুলে দেয়ার দাবী জানালেও কর্তৃপক্ষ তা আমলে নেয়নি। সাউথখালী ইউপি চেয়ারম্যান জানান, খালের পানি নষ্ট হওয়ার বিষয়টি শুনেছি। দেখি কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরদার মোস্তফা শাহিন জানান, বিষয়টি লিখিত ভাবে উর্দ্ধতন কর্তৃ পক্ষকে জানিয়েছি। জানতে চাইলে বিশ্বব্যাংকের কোয়ালীটি কন্ট্রোল অফিসার দেলোয়ার হোসেন বলেন, সংকটের বিষয়টি আমরা অবহিত ছিলামনা। দুই একের মধ্যে সমস্যার সমাধান করা হবে।