চৌগাছায় স্কুলের ভবন নির্মানের ইট প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে

0

স্টাফ রিপোর্টার চৌগাছা (যশোর) ॥ যশোরের চৌগাছার মাকাপুর-বল্লভপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলের ভবন নির্মানের ইট নিজের বাড়িতে নিয়ে কাজ করা,এমনকি কিছু ইট জমা রাখার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে স্কুলের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবকসহ এলাকার সাধারন মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তবে প্রধান শিক্ষক স্কুলের ইট নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম তার বাড়িতে ১৭৫ পিচ স্কুলের ইট মজুদ করে রেখেছে। তিনি সম্প্রতি বাড়িতে একটি গরুর গোয়াল ঘর নির্মান করেছেন। ওই গোয়াল ঘর নির্মানেও তিনি স্কুলের ভবন নির্মানের ইট ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ। একাাধিক অভিভাবক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, স্কুলের ইট প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে এটি ভাবতেও যেন অবাক লাগছে। শিক্ষক হচ্ছে মানুষ গড়ার কারিগর। সেই শিক্ষক যদি দূর্ণীতে জড়িয়ে পড়েন, তাহলে তিনি ছেলে মেয়েদের কি শিক্ষা দিবেন। সুখপুকুরিয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য ইমান আলী বলেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম বিদ্যালয়ের ভবন নির্মানের ইট নিজের বাড়িতে নিয়ে চরম অপরাধ করেছে বলে আমি মনে করছি। এ ঘটনা গোটা শিক্ষক সমাজের জন্য লজ্জা আর অপমানের।
বল্লভপুর গ্রামের আব্দুর রহমান, ইসাকুল, বিল্লাল হোসেন, কামারুল ইসলাম জানান, বেশ কয়েক দিন আগে আমরা দেখি স্কুলের জন্য আসা ইটের ট্রাক প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলামের বাড়ির সামনে। ট্রাক ড্রাইভারকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, হেড স্যারের কিছু ইট লাগবে তাই বাড়িতে নামানো হচ্ছে। স্কুলের ভবন নির্মাণ কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা জানান, প্রধান শিক্ষক স্কুলের ইট দিয়ে বাড়িতে একটি গোয়াল ঘর নির্মান করেছেন, ওই কাজ আমরাই করেছি। ভবন নির্মানের ইট প্রধান শিক্ষকের বাড়ির সামনে দিয়ে আসার কারনে তিনি প্রতি ট্রাক থেকে ইট নামিয়ে রাখতেন বলে শ্রমিকরা জানান। এ বিষয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান দেবাশীষ মিশ্র জয় বলেন, স্কুলের ইট যদি প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে পাওয়া যায় তবে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কাজে যে বা যারা বাধা প্রদান করবে তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে তিনি জানান। এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, স্কুলের ইট বাড়িতে নিয়ে যাওয়া এমনকি ওই ইট দিয়ে কাজ করা সত্য নই। তিনি বলেন, আমি ইট কিনেই বাড়িতে কাজ করেছি। তবে বাড়িতে জমা রাখা ১৭৫ পিচ ইটের কোন ভাইচার তিনি দেখাতে পারেন নি।