হিলিতে পেঁয়াজের দাম কমল কেজিতে ১০ টাকা

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়ে গেছে। এর প্রভাব পড়েছে বাজারে। কয়েক দিনের ঊর্ধ্বমুখিতা কাটিয়ে কমে এসেছে পণ্যটির দাম। একদিনের ব্যবধানে এখানকার বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ১০ টাকা। পেঁয়াজের পাশাপাশি হিলিতে কমতির দিকে রয়েছে রসুনের দামও।
গতকাল হিলির পাইকারি বাজার ঘুরে ভারত থেকে আমদানি করা প্রতি কেজি পেঁয়াজ মানভেদে ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। একদিন আগেও এসব পেঁয়াজ মানভেদে ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। অর্থাৎ একদিনেই হিলিতে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা কমেছে।
এদিকে হিলির বাজারে দেশে উৎপাদিত প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৪৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। একদিন আগেও এ পেঁয়াজ ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। এদিন রসুন বিক্রি হয় প্রতি কেজি ৭০ টাকায়। একদিনের ব্যবধানে রসুনের দাম কেজিতে ৩০ টাকা কমেছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মশিউর রহমান জানান, নভেল করোনাভাইরাসের কারণে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যাবে, এমন খবরে পণ্যটির বাজার চাঙ্গা হতে শুরু করেছিল। তবে এখনো এমন কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি। ফলে আপাতত সরবরাহ সংকট তৈরির সম্ভাবনা নেই। এটা পেঁয়াজের দাম কমাতে ভূমিকা রেখেছে।
তিনি বলেন, পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করায় সরকার বাজার মনিটরিং জোরদার করেছে। অনেক জায়গায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এতে আতঙ্কিত মজুদদাররা বাজারে পেঁয়াজ ছাড়তে শুরু করেছেন। ফলে পেঁয়াজের সরবরাহ আগের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। কমেছে দাম।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম বলেন, নভেল করোনাভাইরাসের কারণে স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ হয়ে যাবে, এমন আশঙ্কা থেকে এখানকার আমদানিকারকরা বাড়তি পেঁয়াজ আমদানি করছেন। গত কয়েক দিন এ স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ২০-২৫ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। তবে গতকাল এ স্থলবন্দর দিয়ে ৩৭টি ট্রাকে ভারত থেকে মোট ৫৮০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।
স্থানীয় আমদানিকারক আইয়ুব হোসেন বলেন, একদিকে ভারত থেকে আমদানি বৃদ্ধি অন্যদিকে সরকারি মনিটরিংয়ের কারণে মোকাম খালি করার প্রবণতা এ দুই কারণে হিলির বাজারে পেঁয়াজের দাম আগের তুলনায় কমতে শুরু করেছে।