করোনা মোকাবিলায় অলির দশ দফা দাবি

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দশ দফা দাবি জানিয়েছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি ও জাতীয় মুক্তিমঞ্চের আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) অলি আহমদ। তিনি বলেছেন, দেশে অদ্ভুত সরকার, যাদের কাছে মানুষের কোনো মূল্য নেই। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এবং হতাহতের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অথচ সরকার কোনোপদক্ষেপ না নিয়ে শুধু যুক্তিতর্ক এবং টেলিভিশনের বক্তব্যের মধ্যে কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রেখেছে। এখন পর্যন্ত জনগণের স্বাস্থ্য সেবা দেয়ার জন্য কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, এমনকি জনগণকেও দিকনির্দেশনা দেয়নি। রবিবার এলডিপির সাংগঠনিক সম্পাদক সালাহ উদ্দীর রাজ্জাক স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি। অলি আহমদ বলেন, শুধু সাবান, এন্টিসেপটিক দিয়ে হাত পরিষ্কার বা মুখে মাস্ক লাগিয়ে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না। সরকারের উচিত ছিল নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো জরুরি ভিত্তিতে গ্রহণ করা-
১. জাতীয় পর্যায়ে টাস্কফোর্স গঠন
২. জেলা পর্যায়ে টাস্কফোর্স গঠন
৩. উপজেলা ও পৌরসভা পর্যায়ে টাস্কফোর্স গঠন
৪. ডাক্তার ও স্বাস্থ্য সেবা কর্মীদের প্রশিক্ষণ ও তাদের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং করোনাভাইরাস শনাক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম জরুরি ভিত্তিতে ৭ দিনের মধ্যে ক্রয় করার ব্যবস্থা নেয়া
৫. দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণ, জনগণের মধ্যে শৃঙ্খলা রক্ষা এবং কোয়ারেন্টাইন ক্যাম্প নিয়ন্ত্রণের জন্য সশস্ত্র বাহিনীকে দায়িত্ব দেয়া
৬. বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা। এতে করে রোগের বিস্তার রোধ করা সম্ভব হতো, যা যথাসময়ে করা হয়নি।
৭. জনগণকে আশ্বস্ত করার জন্য বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও পৌরসভায় কোথায় কোথায় কোয়ারেন্টাইন ক্যাম্প হবে বা চিকিৎসা সেবা পাওয়া যাবে, তা পরিষ্কারভাবে জনগণকে জানানো। করোনাভাইরাসকে ভয় পাবেন না, সচেতন হন। শুধুমাত্র এই ধরনের স্লোগান দিয়ে করোনার ব্যাপ্তি রোধ করা সম্ভব নয়। ৩০ দিন আগে সব ধরনের জনসমাবেশস্থল নিয়ন্ত্রণের আওতায় নিয়ে আসা উচিত ছিল। যেমন- বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর, বাস টার্মিনাল, রেলওয়ে স্টেশনগুলো, সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার, সামাজিক অনুষ্ঠান, রাজনৈতিক সমাবেশ ইত্যাদি। এতে করে জনগণের মধ্যে আতংক সৃষ্টি হতো না। যে যাই বলুক না কেন- জনগণের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। খাদ্য দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে এবং দেশের অনেক জায়গায় খাদ্য দ্রব্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
৮. সংকটের সময়ে বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, সংস্থা ও শিল্প-কলকারখানাকে সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক প্রণোদনা দেয়ার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
৯. বাস, লঞ্চ ও রেল যোগে অতিরিক্ত যাত্রী বহন নিষিদ্ধ করতে হবে। তা নিশ্চিত করার জন্য সামরিক বাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব দিতে হবে এবং কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
১০. এই রোগের বিস্তার রোধ করতে হবে। সুতরাং আমাদের সকলের উচিত অতি প্রয়োজন ব্যতীত নিজ নিজ বাসস্থান অবস্থান করা। এমনকি ঘরের মধ্যে অবস্থার সময়েও প্রয়োজনীয় নির্দেশনাবলী পালন করা। প্রয়োজনে সরকারকে জনগণকে ঘরে অবস্থান করার জন্য বাধ্য করতে হবে।