রাজগঞ্জের ঝাঁপা বাঁওড়ের ভাসমান সেতুতে বখাটেদের উৎপাত বৃদ্ধি

0

রাজগঞ্জ (যশোর) সংবাদদাতা ॥ যশোরের মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জের ঝাঁপা বাঁওড়ের অনাথ পাটনির ঘাটকে এখন যশোর জেলা প্রশাসক ভাসমান সেতু নামকরণ করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থীরা এসে সেতুটি দেখার জন্য ভিড় জমাচ্ছেন। পাশাপাশি ওই ভাসমান সেতুতে বর্তমানে বখাটেদের উৎপাত বৃদ্ধি পেয়েছে। সেতু কর্তৃপ ঝাঁপা গ্রামের ওপারে দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য ভাসমান ক্যান্টিন, বাঁওড় ভ্রমণের জন্য বিভিন্ন ডিজাইনের নৌকা, পার্ক, পিকনিক স্পটের জায়গা তৈরি করে দিয়েছে। এছাড়া একটি চিড়িয়াখানাও স্থাপন করা হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পার্কে উঠতি বয়সের বখাটের উৎপাত ও আনাগোনা। এছাড়া বিভিন্ন আলোকসজ্জায় সজ্জিত দোকানপাট, শিশুদের আনন্দ দেওয়ার জন্য চলছে নাগরদোলা। কেশবপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের আনিস নামের এক ব্যক্তি কিছু বন্যপ্রাণী সংগ্রহ করে চিড়িয়াখানা তৈরি করেছেন। সামছুর সরদার নামে এক ব্যক্তি মাইকে প্রচার করে বন্যপ্রাণী দেখানোর জন্য ১০ টাকা করে টিকিট বিক্রি করছেন।
টাকার বিনিময় বন্যপ্রাণী দেখানোর বৈধতা ও চিড়িয়াখানা তৈরি করার ব্যাপারে মনিরামপুর প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কিছুই জানেন না বলে জানান। তাছাড়া সেতু থেকে পার্ক পর্যন্ত ২০/২৫ টি বিভিন্ন দোকান রয়েছে। এদিকে ভাসমান সেতু নির্মাণে নিম্নমানের সিট ব্যবহার করায় বেশ কয়েকস্থানে ডেবে গেছে। যে কোন মুহূর্তে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন সচেতন এলাকাবাসী। সেতুটি ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি জনগণের চলাচলের জন্য জেলা প্রশাসক উদ্বোধন করেন। সেই থেকে সেতুটি নামকরণ করা হয় জেলা প্রশাসক ভাসমান সেতু। সেতু কমিটির নেতা মেহেদী হাসান টুটুল জানান, সেতুটি তৈরি হওয়ায় এলাকার বহু বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। তবে প্রতি শুক্র ও শনিবারে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা এখানে সেতু দেখার উদ্দেশ্য পিকনিকও করতে আসে।