স্বাধীনতা পুরস্কারের তালিকা থেকে বাদ রইজ উদ্দিন

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ ২০২০ সালের স্বাধীনতা পুরস্কারের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে এস এম রইজ উদ্দিন আহম্মেদকে। সাহিত্যে তাকে এবার স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়ার কথা ছিল। তবে তালিকায় তার নাম থাকা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। এরপর বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ তালিকা থেকে এস এম রইজ উদ্দিনের নাম প্রত্যাহার করে। অতিরিক্ত সচিব নাসিমা বেগম স্বাক্ষরিত পুরস্কারের তালিকায় রাখা হয়নি সাহিত্য। অন্যান্য বিভাগ, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম একই আছে। ২০ ফেব্র“য়ারি স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২০ পাওয়া নয় ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করে সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। নতুন তালিকায় রইজ উদ্দিনকে বাদ দিয়ে রাখা হয় আট ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানকে। তবে প্রথমে নাম ঘোষণার পর সামাজিক মাধ্যমে এস এম রইজ উদ্দিন আহম্মদকে নিয়ে বেশ আলোচনা দেখা যায়। বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান আর ফেইসবুকে লেখেন, ‘এবার সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কার পেলেন রইজউদ্দীন, ইনি কে? চিনি না তো। কালীপদ দাসই বা কে! হায়! স্বাধীনতা পুরস্কার!’ রইজ উদ্দিন আহম্মদের ৩০টির বেশি বই প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়া আঞ্চলিক ইতিহাস, বাংলাদেশের নদনদী নিয়ে তিনি লেখালেখি করেছেন। সাবেক এ সরকারি কর্মকর্তা কবিতা, ভ্রমণ কাহিনী, প্রবন্ধ ও উপন্যাসের পাশাপাশি নড়াইল, পিরোজপুর, পাবনাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের ইতিহাস নিয়ে বই লিখেছেন। তার উল্লেখযোগ্য বইয়ের তালিকায় রয়েছে- কেমন করে স্বাধীন হলাম (কবিতা), পুষ্পিতারণ্যে বিথী (উপন্যাস), পরলোকে মর্তের চিঠি (পত্রোপন্যাস), রবীন্দ্রজীবনে ভবতারিনীর প্রভাব ও অন্যান্য প্রসঙ্গ (প্রবন্ধ), দেখে এলাম নেদারল্যান্ড: ভূমি প্রসঙ্গ (ভ্রমণ কাহিনী), আগস্ট ট্রাজেডি ও তারপর! (ইতিহাস)।
তাকে নিয়ে সমালোচনার বিষয়ে তখন বিবিসি বাংলাকে রইজ উদ্দিন বলেন, ‘আমি প্রচারবিমুখ, আমার প্রচারের জন্য গাংচিল আন্তর্জাতিক সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ আছে। এর শাখা দেশের সব জেলাতে আছে, বিদেশে আছে। আমি এটার কেন্দ্রীয় সভাপতি। হাজার হাজার তৃণমূল পর্যায়ের কবি আমাকে ভালো জানে, আমিও তাদের জানি’। তিনি বলেন, ‘রাজধানীর (ঢাকার)যারা কৌলিন্যের দাবিদার সেখানে আমি খুব একটা পরিচিত না। একেবারে সেখানে অনুষ্ঠান করিনি তা না। কিন্তু এখন অনেকেই না চেনার ভান করবে। এটা তাদের ব্যাপার। আর পরিচিত হওয়ার জন্য প্রচেষ্টাও আবার খুব একটা ছিল না’। তালিকা থেকে নাম বাদ পড়ার বিষয়ে রইজ উদ্দিনের নাম্বারে কয়েকবার ফোন করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।