যশোর পৌর দফতরে পুলিশ নিয়ে বাজার ইজারার দরপত্র কিনলেন যুবলীগ নেতা

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পুলিশের সহযোগিতায় শেষ পর্যন্ত রেল বাজারের ইজারার শিডিউল কিনতে সক্ষম হলেন যশোর শহরের ষষ্টিতলার আলোচিত যুবলীগ নেতা মেহবুবুর রহমান ম্যানসেল। রোববার দুপুরে যশোর পৌর ভবনে তার শিডিউল আটকে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছিলেন পৌরসভার এক প্রভাবশালী কাউন্সিলর। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। যশোর পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, রোববার ছিলো যশোর পৌরসভার আওতাধীন ৮ টি বাজারের ইজারার দরপত্র কেনার শেষ দিন। এরই ধারাবাহিকতায় সকাল থেকে বাজারগুলো ইজারা নিতে বিভিন্ন এলাকার ঠিকাদাররা সেখানে জড়ো হন দরপত্র কিনতে। তবে তার আগেই পৌরসভার এক প্রভাবশালী কাউন্সিলর তার দলবল নিয়ে জড়ো হন পৌর অধিদপ্তরে। দুপুরের পর শহরের ষষ্টিতলা এলাকার আলোচিত যুবলীগ নেতা মেহবুবুর রহমান ম্যানসেলের পক্ষে রেলবাজারের শিডিউল কিনতে আসেন একদল যুবক। এসময় ওই কাউন্সিলরের লোকজন তাদেরকে শিডিউল না কিনে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ জানান। এসময় তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডাও হয়।
এদিকে একই সময়ে ওই কাউন্সিরল পৌরসভার হিসাব রক্ষক অফিসার আব্দুল মান্নানকে কৌশলে তার দপ্তরে বসিয়ে রাখেন। ফলে ম্যানসেলের পক্ষে দরপত্র কিনতে ব্যর্থ হন তারা। এক পর্যায়ে এ বিষয়ে যশোর কোতয়ালি থানা পুলিশের সহযোগিতা চান তারা। খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক পৌরভবনে যান এবং ম্যানসেলের পক্ষে দরপত্র সংগ্রহের ব্যবস্থা করেন। এ বিষয়ে কোতয়ালি থানার ইনেসপেক্টর (তদন্ত) শেখ তাসমীম আলম জানান, রোববার দুপুরে কিছু লোক অভিযোগ করে যশোর পৌরসভা থেকে তাদেরকে দরপত্র দেয়া হচ্ছে না। এরপর আমরা পৌরসভায় গিয়ে সংশ্লিষ্ট অভিযোগকারীদের শিডিউলের ব্যবস্থা করে দেই। এ বিষয়ে পৌরসভার সচিব আজমল হোসেন বলেন, পৌরসভার আওতাধীন যশোর শহরের ৮টি বাজারের ইজারার দরপত্র ক্রয়-বিক্রয়ের দিন ছিলো রোববার। টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ঠিকাদাররা নিয়ম অনুযায়ি দরপত্র কিনেছেন। এতে কোন ধরনের সমস্যা হয়নি বলে তিনি দাবি করেন। তিনি বলেন, আজ সোমবার ঠিকাদাররা তাদের দরপত্র জমা দেবেন। প্রসঙ্গত, পৌরসভার ৮ টি হাট-বাজারের মধ্যে যশোর রেলবাজার গুরুত্বপূর্ণ। এ বাজারের ইজারাদার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতাসীন দলের দুই পক্ষের মধ্যে টানাপোড়েন চলে আসছে। গত মেয়াদে বাজারটির ইজারা নেয়ার জন্য যুবলীগ মেহবুবুর রহমান ম্যানসেল চেষ্টা চালান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাজারটি ইজারা নিয়ে নেন আলোচিত ওই কাউন্সিলর। যে কারণে এ বছরও তিনি বাজারটিকে নিজের দখলে নিতে দরপত্র কিনতে বাধা সৃষ্টি করলেও পুলিশের সহযোগিতায় ম্যানসেল দরপত্র কিনতে সক্ষম হন।