চৌগাছা পৌরসভা সেবাদান প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে অভিমত পৌরবাসীর

0

স্টাফ রিপোর্টার, চৌগাছা (যশোর) ॥ যশোরের চৌগাছা পৌরসভা দিনদিন সেবাদান প্রতিষ্ঠান হিসেবে মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিতে শুরু করেছে। প্রতিষ্ঠার মাত্র ১৫ বছরে পৌর এলাকায় অভাবনীয় উন্নতি হয়েছে, তৃতীয় শ্রেণির পৌরসভা থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছে। একঝাঁক তরুণ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পৌর পরিষদের সঠিক নির্দেশনায় তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছে পৌরসভার সকল কার্যক্রম এমনটিই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ এলাকার মানুষ।
২০০৪ সালে যশোরের ঐতিহাসিক ঈদগাহ মাঠের জনসমুদ্রে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সীমান্তবর্তী উপজেলা চৌগাছাকে পৌরসভা করার ঘোষণা দেন। সেই ঘোষণা অনুযায়ী ওই সালেই উপজেলা সদরের ৬ টি মৌজার সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় পৌরসভা। প্রতিষ্ঠালগ্নে একটি ভাড়াভবনে কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর স্থানান্তরিত হয় চৌগাছা ইউনিয়ন পরিষদের পুরাতন ভবনে। কিছুদিন যেতে না যেতেই নতুন ভবন পায় পৌরসভা। যশোর উন্নয়নের কারিগর সাবেক সফল মন্ত্রী মরহুম তরিকুল ইসলামের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় পৌরসভা গঠন এবং পরবর্তীতে নতুন ভবন পায় বলে সূত্র জানায়। ১১ দশমিক ৬৯ বর্গকিলোমিটার এলাকা ও ৯ টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত হয় চৌগাছা পৌরসভা। বর্তমানে মোট ভোটারের সংখ্যা ১৬ হাজার ২শ ৫২। এর মধ্যে পুরুষ ৮ হাজার ৪২ আর মহিলা ভোটার হচ্ছে ৮ হাজার ২শ ১০ জন। এক সময়ের অন্ধকারাছন্ন উপজেলা সদরে এখন ৬৫০ টির মত সড়কবাতি জ্বলে। শিক্ষার হার প্রায় ৮৫ শতাংশ, আর শতভাগ স্যানিটেশন ব্যবস্থা। পৌরসভার ঐতিহাসিক স্থান হচ্ছে নীলকুঠি ও জেলা পরিষদ ডাকবাংলো।
সূত্র জানায়, ২০০৪ সালে পৌরসভা গঠন হলে তার প্রশাসক নিযুক্ত হন সেলিম রেজা আওলিয়ার। এরপর নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান এবং পরবর্তীতে মেয়র নির্বাচিত হন। নতুন পৌর পরিষদকে নিয়ে তিনি সাজাতে থাকেন পৌর এলাকা। তার আমলে যথেষ্ঠ উন্নয়ন সাধিত হয় অভিমত পৌরবাসীর। সেলিম রেজা আওলিয়ারের আমলের পর দায়িত্ব পান বর্তমান মেয়র নূর উদ্দিন আল মামুন হিমেল। তিনি পূর্বের মেয়রের রেখে যাওয়া কাজ সমাপ্তির পাশাপাশি নতুন নতুন কাজ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সকলের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠেন। তিনি মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণের পর অভাবনীয় উন্নতি করেছেন বলে অভিমত পৌরবাসীর। পৌর ভবন এলাকায় নির্মিত হয়েছে দৃষ্টিনন্দন পায়রা চত্বর। সবুজের সমারোহের মাঝে হরেক রকমের ফুলের সুগন্ধ সকলকে অকৃষ্ট করে। আছে কৃত্রিম মিনি পাহাড়, ঝর্ণা, বাঘ আর হরিণ। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ ছোট ছোট শিশু মনোরম এই দৃশ্য দেখার জন্য ছুটে আসেন পৌরসভায়। পৌরসচিব গাজী আবুল কাশেম বলেন, পৌরসভা জনগণের প্রতিষ্ঠান। তাই মানুষ এই প্রতিষ্ঠানে এসে যাতে দ্রুত সেবা পান সেটি নিশ্চিতে কাজ করি। পৌর পরিষদ ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এ সব করা সম্ভব হচ্ছে বলে তিনি জানান। মেয়র নূর উদ্দীন আল-মামুন হিমেল বলেন, মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই পৌরবাসীর সেবায় কাজ করে যাচ্ছি। মানুষ যাতে পৌরসভায় এসে কোন ধরনের ভোগান্তিতে না পড়েন তার সুব্যবস্থা করেছি। অল্প সময়ে নানা উন্নয়নমূলক কাজ করতে পেরেছি, এখনও অসংখ্য উন্নয়ন কাজ চলমান। আমি আশাবাদী পৌরবাসীর সহযোগিতা পেলে চৌগাছা পৌরসভা একদিন এ অঞ্চলের সেরা পৌরসভায় পরিণত হবে।