খরার মধ্যেও ভোট উৎসব যেখানে

0

লোকসমাজ ডেস্ক ॥ ঢাকার দুই সিটির ভোটের ফল হতাশ করেছে সব পক্ষকে। গড়ে ভোট পড়েছে ২৭ ভাগ। ভোটারের এই খরার মধ্যেও অন্যচিত্র দেখা গেছে রাজধানীর একটি ওয়ার্ডে। রীতিমতো ভোট উৎসব হয়েছে সেখানে। ওই ওয়ার্ডের কেন্দ্রগুলোতে ভোট পড়েছে ৭৭ ভাগ পর্যন্ত। সাধারণ নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হলেও ইভিএমে ভোটের হার কম হয়। সেটি ৫০ থেকে ৬০ ভাগের মধ্যে থাকে। কিন্তু ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটের চিত্র ওই এলাকার ভোট উৎসবেরই জানান দিচ্ছে।
সরজমিন এলাকা ঘুরে ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যেসব কারণে রাজধানীজুড়ে ভোটারের খরা দেখা গেছে ওই ওয়ার্ডে তার কিছুই ছিল না। সিটিতে যুক্ত হওয়া নতুন এই ওয়ার্ডের ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন। দিনের শেষে বিজয়ী প্রার্থীর পক্ষে মিছিল করেছেন। ভোট নিয়ে নেই কারও কোন অভিযোগ। ভোটের দিন ছিল না হামলা, সংঘর্ষের কোন ঘটনা। স্থানীয়দের এক কথা, এই ওয়ার্ডে নির্বাচন স্বচ্ছ হয়েছে। সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। এই ওয়ার্ডের নাসিরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে সর্বোচ্চ ৭৬ ভাগ, ত্রিমোহনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৭৩ ভাগ ও ত্রিমোহনী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬২ শতাংশ ভোট পড়েছে। এছাড়া একই ওয়ার্ডের বালুরঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়েছে ৭৫ ও ফকিরখালী নুরানিয়া হাফিজিয়া মাদরাসায় পড়েছে ৭৪ ভাগ ভোট। ইভিএম-এ এতো বেশি ভোট পড়ল কিভাবে এ নিয়ে প্রশ্ন জেগেছে অনেকের মনে। মানবজমিন এর অনুসন্ধানে উঠে আসে এই এলাকার ভোট উৎসবের নেপথ্যের তথ্য।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডটি ত্রিমোহনী, নাসিরাবাদ, দাশেরকান্দি, গজারিয়া, কায়েতপারা, বাবুর জায়গা, বালুর পার, উত্তর দুর্গাপুর, নাগদারপাড়া, ইদারকান্দি, শেখের জায়গা ও ভাইদিয়াসহ মোট ১২টি গ্রাম নিয়ে গঠিত। এক সময় এই গ্রামগুলো নাসিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের অধীনে ছিল। আয়তনের দিক থেকে ওয়ার্ডটি ৯ বর্গমাইলের কাছাকাছি। জনসংখ্যা প্রায় অর্ধলক্ষ এবং এটি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মতিঝিল জোনের খিলগাঁও থানার আওতাধীন। ওয়ার্ডের মধ্যে বয়ে গেছে নড়াই, বালু ও দোলাই নদী। এছাড়াও এলাকাটি দিয়ে গজারিয়া ও নন্দীপাড়া খালও বয়ে গেছে। খিলগাঁও থানা থেকে সাত কিলোমিটার দূরে ওয়ার্ডটির অবস্থান। কয়েক বছর আগেও এলাকাটি নির্জন দ্বীপের মত ছিল। রাস্তাঘাট, স্কুল, যোগাযোগ ব্যবস্থা এতটা ভাল ছিল না। বেশিরভাগ মানুষই কৃষি নির্ভর। অবহেলিত এলাকাটির সড়ক এখন খানাখন্দে ভরপুর। সেইসঙ্গে এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠায় সড়কজুড়ে ধুলার রাজত্ব। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকার ভেতরে ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডটির অবস্থান হলেও এই এলাকার মানুষ বহু বছর ধরে সুবিধা বঞ্চিত। এখানে নাই ভালো শিক্ষা ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য সেবা ও যোগাযোগ ব্যবস্থা। ইউনিয়ন থেকে সিটি করপোরেশনে অন্তর্ভূক্ত করার পর কিছুটা দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়েছে। গ্রাম্য আবহে বেড়ে উঠা এই ওয়ার্ডের মানুষগুলো ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের হলেও তাদের মধ্যে আত্মীয়তার বন্ধন খুব অটুট। তাদের মধ্যে রাজনৈতিক হানাহানিরও অতীত রেকর্ড নেই। তবে এলাকা ভিত্তিক আলাদা আলাদা বলয় আছে। এখানে এলাকাভিত্তিক প্রভাবে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হন। এবারের সিটি নির্বাচনে এই ওয়ার্ডের সবচেয়ে বড় ভোটব্যাংক ত্রিমোহনী এলাকার একক আধিপত্যে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। প্রতিটা ভোট কেন্দ্রে ভোটাররা বাধাহীন, ভয়ভীতি ছাড়া তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এলাকার প্রতিটা কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। নারী, পুরুষ, বৃদ্ধ প্রত্যেকেই ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিয়েছেন। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এখানে এককভাবে কোনো প্রার্থীর পক্ষে প্রভাব বিস্তার করেননি। ইভিএম-এ ভোট গ্রহণের কারণে অনেক সময় বিলম্ব হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সাধারণ ভোটাররা। আর এই ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী জয়লাভ করায় আওয়ামী লীগের কিছু সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। তাদের অভিযোগ আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী চেইন অব কমান্ড না মেনে সরাসরি কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন আনায় স্থানীয় শীর্ষ নেতারা তার বিপক্ষে কাজ করেছেন। ফলে সরকার দলীয় প্রার্থী জয়লাভ না করে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জয়লাভ করেছেন। দক্ষিণ সিটির আওয়ামী লীগ মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী ছিলেন তোফাজ্জল হোসেন, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আকবর হোসেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছেন সোনিয়া হোসেন। দক্ষিণ সিটি হওয়াতে এখানে দুই প্রধান দলের মেয়র প্রার্থী ছিলেন আওয়ামী লীগের ব্যারিষ্টার ফজলে নূর তাপস ও বিএনপির ইশরাক হোসেন। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডের মোট ভোটার সংখ্যা ১৫ হাজার ৯৩৭। এর মধ্যে নাসিরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৩৬৪জন, ত্রিমোহনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২ হাজার ১৩১ ও ত্রিমোহনী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ১ হাজার ৭২৩জন। বালুর পাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ হাজার ৩৫০, ফকিরখালী নুরানীয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসায় ৯৬৪, অধ্যাপক আলী আহমদ উচ্চ বিদ্যালয়ে ২ হাজার ৪৪৯, কাদেরিয়া তাহেরিয়া দাখিল মাদ্রাসায় ২ হাজার ২৫ টি ভোট ছিল।
রাহাতুন্নেছা দাখিল মাদ্রাসায় ১ হাজার ৩৬৪টি, দাসেরকান্দি হাজেরা বেগম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ হাজার ৫৬৭টি ভোট ছিল। আলোচনায় থাকা তিনটি কেন্দ্রের মধ্যে নাসিরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৩৬৪টি। এর মধ্যে ১ হাজার ৭৯৭ জন ভোটার ভোট দিয়েছেন। শতকরা হিসেবে যা ৭৬ ভাগ। ত্রিমোহনী আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ে ১ হাজার ৭২৩টির মধ্যে ভোট পড়েছে ১ হাজার ৬৮টি। শতকরা হিসেবে ৬২ ভাগ। ত্রিমোহনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২ হাজার ১৩১টি ভোটের মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ হয়েছে ১ হাজার ৫৫৫টি। যা মোট ভোটের ৭৩ শতাংশ। একইভাবে ফকিরখালী নুরানিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসায় ৯৬৪ ভোটের মধ্যে ভোট পড়েছে ৭১৩টি। এটি মোট ভোটের ৭৪ শতাংশ। আর আলোচনায় থাকা বালুর পাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ হাজার ৩৫০ জন ভোটারের মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ১ হাজার ১২ জন। শতকরা হিসেবে মোট ভোটের ৭৫ শতাংশ।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এই ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন ঠেলা গাড়ি প্রতীক মোট ভোট পেয়েছেন ৪ হাজার ৭৫০টি। বিএনপি মনোনিত প্রার্থী আকবর হোসেন ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪ হাজার ৯৫৭ ভোট। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী সোনিয়া হোসেন ঝুড়ি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ হাজার ৩৫০ ও আতাবর রহমান ট্র্যাক্টর প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭১ ভোট। এদের মধ্যে ২০৭ ভোট বেশি পেয়ে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আকবর হোসেন বিজয়ী হয়েছেন। তবে এই ওয়ার্ডে সুবিধাজনক ও ভালো অবস্থানে থেকে প্রায় সবকটি কেন্দ্রে মেয়র প্রার্থী আওয়ামী লীগের ব্যারিষ্টার ফজলে নুর তাপস জয়ী হন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডে রাজনৈতিক রেষারেষি ও সংঘাত না থাকায় এখানে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অন্যান্য নির্বাচনে এই ওয়ার্ডের কেন্দ্রগুলোতে আরও বেশি ভোট পড়ে। সিটি নির্বাচনের দিন সকাল থেকেই ভোটারদের লম্বা লাইন ছিল। প্রত্যেক ভোটারই তাদের পছন্দের প্রার্থীদের নির্ভয়ে ভোট দিয়েছেন। ফলে দুই প্রধান দলের কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে জয়ের ব্যবধান ছিল মাত্র ২০৭ ভোট। আর মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে ফজলে নুর তাপস বিপুল ভোট পাওয়ার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সমঝোতা কাজ করেছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মী বালু ব্যবসায়ী নুর মোহাম্মদ বলেন, এটা ঢাকার খুব কাছে হলেও গ্রাম এলাকা। এখানে সবাই একে ওপরের পরিচিত। অনেকেই আত্মীয়। তোফাজ্জল হোসেন (ঠেলাগাড়ি মার্কা) আওয়ামী লীগের কর্মী হলেও তিনি আমাদের পছন্দের প্রার্থী ছিলেন না। তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্যকে পাশ কাটিয়ে ঊর্ধতন নেতাকর্মীদের মাধ্যমে নমিনেশন পেয়েছেন। তার থেকে বড় কথা আমরা চেয়েছি আমাদের এলাকা ত্রিমোহনী থেকে কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচিত হোক। আর আমাদের মনোনীত প্রার্থী মনোনয়ন না পাওয়ায় সবাই মিলে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আকবর হোসেনের (ঘুড়ি মার্কা) হয়ে কাজ করেছি। আমরা সবাইকে বলেছিলাম সবাই মেয়র পদে নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন আর আমরা সবাই বিএনপির ঘুড়ি মার্কায় ভোট দেব।
ত্রিমোহনী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী দোকানদার সামির আলী বলেন, আমাদের এলাকার লোকজন চাইছে ত্রিমোহনী এলাকা থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হোক। আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে যে লোককে তিনি অন্য এলাকার। আমারা এলাকার ছেলেকে নির্বাচিত করেছি। তিনি আরো জানান, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া নেতা তোফাজ্জল হোসেন তাতী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত। তিনি আরো বলেন, অন্যান্য বারের থেকে এবার মানুষ কম ভোট দিয়েছে। আর অনেকে ইভিএম-এ ভোট হবার কারণে যায় নাই। ত্রিমোহনী এলাকার আরেক বাসিন্দা অলী হোসেন বলেন, ৭৫ নম্বর আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম, আকবর আলীর হয়ে কাজ করেছেন। সেইসঙ্গে সবাই আওয়ামী লীগের হয়েও কাজ করেছেন। দলের প্রভাব খাটিয়ে অনেক কাজ করা যায়। কিন্তু তিনি দলীয় মনোনয়ন পেলেও বিপক্ষ দল সেই প্রভাব খাটিয়েছে। মজার ব্যাপার হলো জয়ের পর বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা একসঙ্গে আনন্দ মিছিল করেছেন। তিনি বলেন, এলাকার ভোটাররা অধিকাংশই এলাকায় থাকেন। ফলে ভোট বেশি পড়েছে পাশাপাশি ভোট এখানে সুষ্ঠু হওয়ায় সবাই ভোট দিতে এসেছেন। ত্রিমোহনীর আরেক বাসিন্দা মনির হোসেন বলেন, ভোটের পরিবেশ অনেক ভালো ছিল। কোন ঝামেলা হয় নাই। লাইনে দাঁড়িয়ে সুন্দর মতো আমরা ভোট দিয়েছি।
ত্রিমোহনী এলাকার বাসিন্দারা খুশি হলেও নাসিরাবাদসহ অন্যান্য এলাকার বাসিন্দারা তোফাজ্জল হোসেনের পরাজয়ে মর্মাহত। নাসিরাবাদ এলাকার শিক্ষার্থী রাইয়ান মাহমুদ বলেন, আমরা ১৫/২০ বছরে যা পাইনি। তা তোফাজ্জল হোসেন ৯ মাসে করে দিয়েছেন। বিদ্যুতের খুঁটি, পিচ ঢালা রাস্তা, ড্রেনেজ ব্যবস্থা এসব কল্পনাই করা যেত না। সব করে দিয়েছেন তিনি। আসলে ত্রিমোহনী এলাকার ওপর দিয়ে যেতে হয় আমাদের। তাদের ওপর দিয়ে আমরা কথাও বলতে পারি না। তারা আমাদের শাসন করে আসছেন। সেই শাসন তারা ধরে রাখতে চায়। এজন্যই ত্রিমোহনী এলাকা থেকে অন্য এলাকার আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাওয়ায় বিরোধীতা করেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তারা যৌথভাবে কাজ করে শুধুমাত্র এলাকার প্রভাব ধরে রাখার জন্য মুক্তিযোদ্ধা আওয়ামী লীগের প্রার্থী নিঃসন্দেহে একজন ভালো মানুষকে হারিয়ে দিয়েছেন। নাসিরাবাদ এলাকার বাসিন্দা আবুল হোসেন ও আনোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের এই ওয়ার্ডে ত্রিমোহনী এলাকার ভোট বেশি। অন্যসব এলাকার লোক একসঙ্গে হয়েও ওই এক এলাকার লোকেদের হারাতে পারিনি। তোফাজ্জল অনেক ভালো মানুষ। এমনও হইছে খেটে খাওয়া মানুষ সারাদিন কাজ করে এসে ৫শ’ টাকা আয় করে ১শ’ টাকা নির্বাচনের খরচের জন্য দিয়েছেন এমন উদাহরণও আছে। নাসিরাবাদ মসজিদের সভাপতি হাজী আবুল হাশেম সরকার বলেন, এলাকার ভোট খুবই ভালো। কোন ধরণের সমস্যা হয়নি। নাসিরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার তাসনিম বলেন, এখানে ভোট গ্রহণ সুষ্ঠু হয়েছে। এখানে কোন রকমের ঝামেলা হয়নি। সবাই শান্তিপূর্নভাবে ভোট দিয়েছে। কোন ধরণের ঝামালে বা হুমকি আমরা মোকাবিলা করিনি।