ভোটারদের কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান সিইসি’র

0

লোকসমাজ ডেস্ক ॥ ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ‘নিরাপদে’ ভোট হবে বলে আশ্বাস দিয়ে ভোটারদের কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা। ভোটের সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তা ছাড়াও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ভোটে দায়িত্ব পালন করবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। গতকাল ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে ভোটের সরঞ্জাম বিতরণ কার্যক্রম দেখতে গিয়ে সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, আপনাদের মাধ্যমে ভোটারদের আহ্বান জানাচ্ছি তারা যেন প্রত্যেকেই ভোটকেন্দ্র যান। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ হবে ইভিএমে। ইভিএমে ভোটদানের ব্যাপারে প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসারদের যথেষ্ট প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। যে কোনো ধরনের সাহায্য সহযোগিতা তারা করবে। ইভিএমে ভোট দিয়ে তারা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে, এই আহ্বান আমি ভোটারদের প্রতি জানাই।
সিইসি হুদা বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে আমরা বারবার বলেছি তারা নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে দায়িত্ব পালন করবে। প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি, বারবার বলেছি, সম্পূর্ণভাবে নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গীতে তারা দায়িত্ব পালন করবে। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন, তাদেরকেও সেরকম ইনস্ট্রাকশন দেয়া আছে। মেয়র ও কাউন্সিলর পদের প্রার্থীরা তাদের ইচ্ছা ও সুবিধামত, নির্বিঘ্নে, বিনা বাধায় প্রচার চালাতে পেরেছেন দাবি করে সিইসি বলেন, এতে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। সেইসঙ্গে ভোটারদের মধ্যে আস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে আমি মনে করি। আশা করি আগামীকালের নির্বাচন প্রতিযোগিতামূলকভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিীতাপূর্ণ হবে, অবাধ হবে, সুষ্ঠু হবে, নিরপেক্ষ হবে।
এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশনের উপর রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা ফিরে আসবে বলে মনে করেন কি না? এই প্রশ্নে সিইসি বলেন, এটা আমি বলতে পারবো না। আস্থা-অনাস্থা তাদের মানসিকতার ওপর, কে কীভাবে দেখে সেটার ওপরে। আমরা কখনও কোনো পক্ষপাতিত্ব নিয়ে নির্বাচন পরিচালনা করি নাই, করবো না। নূরুল হুদা বলেন, দেখেন, এই দেশে নির্বাচন কমিশনের প্রতি কোনো দিনও সব রাজনৈতিক দলের আস্থা ছিল- তা আমি দেখি নাই। সুতরাং একদল যারা ক্ষমতায় থাকবেন তাদের এক ধরণের বক্তব্য থাকবে, আবার যারা বাইরে থাকবেন তাদের কখনও আস্থা আসবে না নির্বাচন কমিশনের উপরে, এরকম একটা পলিটিক্যাল কালচার হয়ে আসছে। নির্বাচন কমিশনের উপর আস্থাহীনতার এই সংস্কৃতি থেকে রাজনৈতিক দলগুলোকে বেরিয়ে আসতে হবে মন্তব্য করে সিইসি বলেন, তাদেরই দেখতে হবে কতখানি নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করে নির্বাচন কমিশন, এখানে আমার বলার কিছু নেই। মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে সিইসি বলেন, তারা যেন তাদের অবস্থান নিয়ে থাকেন। তারা যেন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির সৃষ্টি না করেন। ভোটার ভোট দেবে, ভোট দিয়ে চলে আসবে। ভোটারদের প্রতি যেন আস্থা থাকে। সুশৃঙ্খলভাবে তারা যেন নিজ নিজ অবস্থানে অবস্থান করে। সিইসি বলেন, কে কোন দলের সেটা বড় কথা না। সন্ত্রাসী যদি ভেতরে ঢোকে অথবা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে তবে অবশ্যই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেটা দেখবে। বিদেশি পর্যবেক্ষকরা নীতিমালা মেনেই দায়িত্ব পালন করবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন হুদা।