আজ মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৬তম জন্মদিন

0

জয়দেব চক্রবর্ত্তী, কেশবপুর (যশোর) ॥ আজ অমিত্রার ছন্দের জনক মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৬ তম জন্ম দিন। ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি যশোরের কেশবপুর উপজেলার কপোতা নদ তীরের সাগরদাঁড়ি গ্রামে বাবা জমিদার রাজ নারায়ণ দত্ত ও মা জাহ্নবী দেবীর পরিবারে জন্ম নেন শ্রী মধুসূদন দত্ত। তিনি বাংলা ভাষায় সনেট প্রবর্তনের মাধ্যমে মার্তৃভাষাকে সমৃদ্ধ করেছেন বিশ্ব দরবারে। তিনি সুদূর ফ্রান্সের ভার্সাই নগরীতে বসে মার্র্তভাষা বাংলায় নিয়ে রচনা করেছেন অসংখ্য সাহিত্য কর্ম। মেঘনাধ বধ কাব্য , শর্মীষ্ঠা নাটক ,বুড়ো শালিকের ঘাঁড়ে রো নাটক.কৃষ্ণ কুমারী নাটক, সহ অসংখ্য সাহিত্য কর্ম রচনা করেন অল্প সময়ে । ছেলেবেলায় নিজ গ্রামের এক পাঠশালায় মাওলানা লুৎফর রহমানের কাছে শিশু মধুসূদন তার শিা জীবন শুরু করেন। কিন্তু গাঁয়ের পাঠশালায় তিনি বেশি দিন শিা লাভ করতে পারেননি । বাবা রাজনারায়ণ দত্ত কর্মের জন্য পরিবার নিয়ে কলকাতার খিদিরপুরে গিয়ে বসবাস শুরু করেন। সেখানে মধুসূদন দত্তকে চলে যেতে হয়। শেষ জীবনে অর্থাভাব, ঋণগ্রস্ত ও অসুস্থতায় মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন দূর্বিষহ উঠেছিল। এরপর সকল চাওয়া পাওয়াসহ সকল কিছুর মায়া ত্যাগ করে ১৮৭৩ সালের ২৯ জুন কলকাতায় মাত্র ৪৯ বছর বয়সে মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। দিবসটি স্মরণে প্রতিবছর সং®কৃতি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠ পোষকতায় যশোর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে কেশবপুরের সাগরদাঁড়িতে মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মজয়ন্তি ও সপ্তাহব্যাপী মধু মেলার আয়োজন করে থাকে। এবারও সাগরদাঁড়িতে মহাকবির জন্ম জয়ন্তিতে বর্ণাঢ্য আয়োজন করা হয়েছে। মেলা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান জানান, এবার মধুসূদন পদক পাচ্ছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রফেসর অনীক মাহম্মুদ ও পটুয়াখালী হাজী আক্কেল আলী ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক কথা সাহিত্যিক মাসুদ আলম বাবুল। আজ মধু মঞ্চে সন্ধ্যায় মহাকবি মধুসূদন পদক দেওয়া হবে।