পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ

0

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ ॥ ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে কোটচাঁদপুর পৌরসভার মেয়র ও নার্সিং হোম ক্লিনিকের মালিক জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণে সহযোগিতা করায় তিনিসহ আরও তিন জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালত কোটচাঁদপুর থানাকে মামলাটি এজাহার হিসাবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
ধর্ষণের শিকার ওই নারী বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিকাল ৫টার দিকে কোটচাঁদপুর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরে আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। ওই নারী বলেন, ‘গত বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি মেয়রের নার্সিং হোম ক্লিনিকে ডেকে নিয়ে আজাদ নামে একজনের সঙ্গে আমাকে বিয়ে দেওয়া হয় এবং বিষয়টি গোপন রাখাতে বলা হয়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে আমি আজাদকে ঘরে তোলার জন্য চাপ সৃষ্টি করি। পরে ২৬ আগস্ট বিকালে আজাদের সঙ্গে দেখা করতে নার্সিং হোমে আসি। এ সময় বাকবিতণ্ডা হলে একপর্যায়ে আজাদ মোবাইল ফোনে পৌর মেয়র জাহিদুল ইসলামকে ক্লিনিকে ডেকে আনেন। এ সময় নার্স রুমা ও গোলবানু আমাকে একটি কক্ষে আটক রাখে। পরে মেয়র জাহিদ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিষয়টি জানার জন্য আমার রুমে প্রবেশ করেন। আজাদ, রুমা ও গোলবানু তখন বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়। মেয়র জাহিদ একপর্যায়ে আমাকে ধর্ষণ করে।’ ওই নারী আরও বলেন, ‘ধর্ষণের বিষয়টি আজাদ, ক্লিনিকের আয়া ও নার্সদের জানালে তারা উত্তেজিত হয়ে আমাকে মারপিট করে তাড়িয় দেয়। আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় এতদিন কাউকে কিছু বলতে পারিনি। পরে গত ১ জানুয়ারি ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে জাহিদুল ইসলাম, আজাদ, রুমা ও গোলবানুকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করি। মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে কোটচাঁদপুর থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) নির্দেশ দেন আদালত। ১২ জানুয়ারি মামলাটি এজাহার হিসাবে গ্রহণ করেন ওসি। মামলা নম্বর—১২(১)২০২০।’
এদিকে, ওই মামলার আসামি ক্লিনিকের আয়া গুলবানুকে পুলিশ গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর থানার ওসি মাহবুবুল আলম জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা চলমান। মামলা দায়েরের পর অন্য আসামিরা পলাতক রয়েছেন। পৌর মেয়র জাহিদুল ইসলামের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। একটি মহল আমাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করতে এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে মামলায় জাড়িয়েছে।’