বেনাপোল রেলপথে কন্টেইনার টার্মিনাল না থাকায় তিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীদের

0

আহম্মদ আলী শাহিন, নাভারণ (যশোর) ॥ যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরের পাশাপাশি রেলপথেও আমদানি,রফতানি বাণিজ্য প্রসারের যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকলেও অবকাঠামাগত উন্নয়ন প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। লোকসানের কবলে পড়ে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন অনেক ব্যবসায়ীরা। এতে ব্যবসায়ীরা যেমন আর্থিক তির শিকার হচ্ছেন আর সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। ব্যবসায়ীদের দাবি কন্টেইনার টার্মিনাল, রেলপথ ও পর্যাপ্ত বগি-ইঞ্জিন বৃদ্ধি করলে রাজস্ব বাড়বে। বেনাপোল থেকে ভারতের প্রধান বাণিজ্যিক শহর কলকাতার দূরত্ব মাত্র ৮৪ কিলোমিটার। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ার কারণেই মূলত এ পথে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের বাণিজ্যে আগ্রহ বেশি। কিন্তু অবকাঠামো উন্নয়ন সমস্যা বাণিজ্য বিস্তারে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ১৯৯৯ সালে বেনাপোল রেলপথে ভারতের সাথে আমদানি বাণিজ্য শুরু হয়। সড়কে যানজটসহ বিভিন্ন ভোগান্তির কারণে দিন দিন রেলপথে বাণিজ্যে ব্যবসায়ীদের আগ্রহ বাড়তে থাকে। কিন্তু বাণিজ্য বৃদ্ধির সাথে সাথে এখানে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন না হওয়ায় নানা সমস্যার সম্মুখীনন হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে সংকীর্ণ রেলপথ, ইয়ার্ড ও পর্যাপ্ত বগি-ইঞ্জিন না থাকায় পণ্য নিয়ে রেল কার্গো দিনের পর দিন দঁড়িয়ে থাকে। ফলে কমছে রেল বাণিজ্য। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বেনাপোল স্টেশনে কন্টেইনার টার্মিনাল চালু হলে এ পথে আমদানি বাণিজ্য যেমন বাড়বে তেমনি বাণিজ্য হবে সহজীকরণ । এছাড়া পদ্মা সেতু চালু হলে তখন রেলপথ আরও প্রসারিত হবে। এছাড়া বেনাপোল স্টেশনে পণ্য খালাসের কোনো ব্যবস্থা নেই। বেনাপোল থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে নওয়াপাড়ায় নিয়ে পণ্য খালাস করতে হয়। এতে যেমন দ্রুত পণ্য সরবরাহ বিঘœ ঘটছে, তেমনি বাড়তি অর্থ গুণতে হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবসায়ীরা। বেনাপোল স্টেশন মাস্টার মোহাম¥দ সাইদুজ্জামান বলেন প্রতি মাসে এ পথে ভারত থেকে ১২ হাজার ৭৭৭ মেট্রিক টন বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি হয়ে থাকে। এ থেকে রাজস্ব আদায় হয় প্রায় ১ কোটি টাকা। প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন হলে এ পথে বাণিজ্য আরও বাড়বে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।