চৌগাছায় খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ জলাবদ্ধতায় বোরো চাষ হুমকিতে

0

এম.এ. রহিম চৌগাছা (যশোর) ॥ যশোরের চৌগাছায় খালে বাঁধ দিয়ে পানি আটকিয়ে মাছ চাষের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার রাজারকাটা খালে বাঁধ দিয়ে এ মাছ চাষ করছেন কালিয়াকুন্ডি গ্রামের জুল হোসেন, যশোর সদরের ইসলামপুরের সাদেক হোসেন ও শেখ পাড়ার আল-আমিন হোসেন। তারা খালে বাঁধ দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন ৮ গ্রামের পানি বের হওয়ার পথও। এতে কয়েক শ বিঘা জমিতে বোরো আবাদ হুমকির মুখে পড়েছে। স্থানীয়রা দ্রুত বাঁধ অপসারণের দাবি করেছেন।
চৌগাছা উপজেলার মালিগাতি, হাউলী,কালিয়াকুন্ডি, রানিয়ালী ও বাড়িয়ালীসহ বেশকটি গ্রামের পানি এ রাজারকাটা খাল দিয়ে যশোর সদর উপজেলার বুকভরা বাঁওড়ে যায়। সেখান থেকে গিয়ে পড়ে কপোতা নদে। ২০১৩ সাল থেকে কালিয়াকুন্ডি গ্রামের জুল হোসেন, যশোর সদরের ইসলামপুরের সাদেক হোসেন ও শেখ পাড়ার আল আমিন এ খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছেন। মাছ চাষ করার জন্য তারা কালিয়াকুন্ডির রাজারকাটা খালের মুখে ও বারোমাসি খালের ব্রিজের নিচে ইট দিয়ে বাঁধ দিয়েছেন। তাই এ এলাকার কয়েক শ বিঘা জমিতে স্থায়ী জলবদ্ধতার ফলে বোরোসহ অন্যান্য ফসলের আবাদ করতে পারছেন না কৃষকরা। কালিয়াকুন্ডির কৃষক সুলাইমান হোসেন বলেন, খাল ধারের জমিতে আগে বোরো ধানসহ অন্যান্য ফসল ফলাতে পারতেন। বর্তমানে জলবদ্ধতার ফলে কোনো আবাদ করতে পারছেন না। সাবেক মেম্বার আব্দুল মুজিদ বলেন, এ খালের পাশে গ্রামের অনেক চাষির জমি রয়েছে। প্রভাবশালী মহল মাছ চাষ করায় তারা এখন ধান চাষ করতে পারছেন না। অথচ কৃষি কাজ করেই তাদের সংসার চলে। স্থায়ী জলবদ্ধতার ফলে এখন তাদের অনেক সমস্যা। সংসার চলছে না। পাশাপোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওবাইদুল ইসলাম সবুজ বলেন, তারা মাছ চাষের জন্য ব্রিজের নিচে বাঁধ দিয়েছেন। এই খাল দিয়ে পানি বের না হওয়ায় গ্রামের মানুষ সমস্যায় পড়েছেন। আমার ইউনিয়ন পরিষদে কয়েক বার শালিস বিচার করেছি। কিন্তু যারা মাছ চাষ করছে, তারা কোনো কথা শুনছে না। ওই খালের পাশে জমি রয়েছে কালিয়াকুন্ডি গ্রামের ইসমাঈল হোসেন, শরিফুল ইসলাম, অঞ্জলী রাণী, আয়ুব হোসেন, আনোয়ার হোসেন, মালিগাতি গ্রামের শংকরের, সলুয়া গ্রামের এখলাস উদ্দিনের। তাদের দাবি জমিগুলো জবরদখল করে ওই ব্যক্তিরা মাছ চাষ করছেন। তারা অভিযোগ করেন জমির কথা বলতে গেলে জুল হোসেনের গুন্ডারা তাদের প্রাণনাশের হুমকিও দিয়েছেন। এ ব্যাপারে জুল হোসেন বলেন, আমি ১৫৫ বিঘা জমি লিজ নিয়ে মাছ চাষ করছি। সবটুকু ব্যক্তিমালিকানা জমি। ব্রিজের নিচে বাঁধ দিয়েছি, তবে কিছু ইট খোলা আছে, সেখান থেকে পানি বের হতে পারে। শুষ্ক মৌসুমে পানি কমে গেলে চাষিরা সেখানে ধান চাষ করতে পারবে। তাদের কোনো সমস্যা হবে না। গ্রামে আমার একটি প্রতিপ আছে। তারা আমার নিয়ে অপ্রচার চালাচ্ছে।