যুক্তরাষ্ট্রের কাছে চিঠি লিখে যে হুমকি দিয়েছিলেন সুলেইমানি

0

লোকসমাজ ডেস্ক ॥ বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন ড্রোন হামলায় শুক্রবার ভোরে নিহত হয়েছেন ইরানের এলিট কুদস বাহিনীর প্রধান কাসেম সোলাইমানি। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশেই শীর্ষ পর্যায়ের এই ইরানী জেনারেলকে হত্যা করা হয়েছে। ২০০৭-০৮ সালে সরাসরি মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরে চিঠি লিখে তিনি বলেছিলেন, ‘ভুলে যাবেন না, এই ভূখণ্ডে এখনো কাসিম সুলেইমানি আছেন। তিনি শুধু ইরান নয়, ইরাক, লেবানন, ইরাক এবং সিরিয়ার পররাষ্ট্র নীতিও দেখভাল করেন। গাজা, ফিলিস্তিন পর্যন্ত তার যাতায়াত আছে। ২০০৮ সালেই যুক্তরাষ্ট্র কাসিমকে ‘সব চেয়ে বড় শয়তান’ বলে চিহ্নিত করে। কাসিম সুলেইমানিকে হত্যা করতে পারা আমেরিকার সাময়িক জয় তো বটেই৷ বহু দিন ধরেই তিনি মার্কিন লক্ষ্য ছিলেন। কিন্তু তার মৃত্যু মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার প্রভাব বাড়াতে পারবে কি?
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, অদূর ভবিষ্যতে কী হবে বলা মুশকিল। তবে সুলেইমানির হত্যা সহজে ভুলবে না ইরান এবং পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রগুলির ইরান প্রভাবিত গোষ্ঠীগুলি। আমেরিকার বিরুদ্ধে এর বদলা তারা নেবেই। যা আর প্রক্সি যুদ্ধ নয়, বড় সড় যুদ্ধের সম্ভাবনা তৈরি করবে। আন্তর্জাতিক কূটনীতি তা কী ভাবে থামাতে পারে, সেটাই এখন দেখার। এই হত্যার কারণ সম্পর্কে পেন্টাগনের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘জেনারেল সোলাইমানি আমেরিকান কূটনীতিক এবং ইরাকি কর্মকর্তাদের উপর হামলার পরিকল্পনা করে ছিলেন। এছাড়া সোলাইমানি এবং তার এলিট কুদস বাহিনীর বিরুদ্ধে কয়েকশো আমেরিকান ও জোটের সেনা সদস্যকে হত্যা এবং কয়েক হাজার সদস্যকে আহত করার অভিযোগ ছিলো।’ পেন্টাগনের বিবৃতিতে আরো বলা হয়, এই ড্রোন হামালার উদ্দেশ্য ভবিষ্যতের ইরানি হামলার পরিকল্পনা রোধ করা। বিশ্বজুড়ে যেখানেই হোক না কেন যুক্তরাষ্ট্র তার জনগণ ও দেশের স্বার্থ রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবে। ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযান শুরু হয়ে ছিলো অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে কিন্তু সেটা এখন সামরিক অঙ্গনে সরে এসেছে। এদিকে আনাদুলোর খবরে বলা হয়েছে, দীর্ঘ দিন ধরেই ইরানের এলিট কুদস বাহিনীর দায়িত্বে ছিলেন সুলাইমানি। ২০ হাজার সদস্য নিয়ে ঘটিত কুদস বাহিনীকে ২০০৭ সালে সন্ত্রাসবাদী দল ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৮ সালের জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সতর্কতার বিষয়ে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সোলেমানি বলে ছিলেন, ওয়াশিংটন যদি তেহরানকে হুমকি দেয়, তাহলে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে।’ শুক্রবার ভোরে সোলাইমানি হত্যার পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজের টুইটার পেইজে ক্যাপশন ছাড়া একটি যুক্তরাষ্ট্রের পতাকার ছবি পোষ্ট করেছেন।