শিশু কিশোর শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন

0

২০১৯ সালের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর অল্প সময়ের ব্যবধানে দেশে ঘোষিত হয় শিশু-কিশোরদের সবচেয়ে বড় পরীক্ষার ফল। ওইদিন দুপুর ১২টায় ঘোষিত হয় কিশোরদের জেএসসি-জেডিসি ও বেলা একটা নাগাদ ঘোষণা করা হয় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীর (পিইসি) ফলাফল। একই সাথে ঘোষণা করা হয় ইবতেদায়ী পরীক্ষার ফল। পিইসি পাশের হার ৯৬.২৭ এবং ইবতেদায়ির ফল ছিল ৯৬.৭৭। জেএসসি যশোর বোর্ডের পাশের হার ছিল ৯১.০৮। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ হাজার ৭৫৫ জন। প্রাথমিকে জিপিএ পেয়েছে ৫ হাজার ৬২২ জন। ফলাফল ঘোষণার পর সব স্কুলে আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে। উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা উল্লাস প্রকাশ করে। বিশেষ করে জিপিএ-৫ প্রাপ্তরা আনন্দ উৎসবে মাতে। তাদের আনন্দে শরীক হন শিক্ষক ও পিতা-মাতা স্বজনরা। এই দৃশ্যের বিপরীত দিকও ছিল। উত্তীর্ণ হতে না পারা শিক্ষার্থীরা কান্নাকাটি করেছে। তাদের পিতা-মাতারা বিব্রত লজ্জিত হয়েছে বিশাল পাশের হারের মধ্যে সন্তানের নাম না থাকা সত্যিই লজ্জার।
আমরা শিশু-কিশোর শিক্ষার্থী আনন্দ উৎসবকে অভিনন্দন জানাই জিপিএ-৫ প্রাপ্তসহ সকল উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীকে। তাদের আরও ভালো ফলাফল প্রত্যাশা করি। অপরদিকে, যারা উত্তীর্ণ হতে পারেনি তাদের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে আগামীতে যাতে উত্তীর্ণ হতে পারে সেই কামনা করি। কোমলমতির শিক্ষার্থীদের পিঠে বইয়ের বোঝা কমানোর যে দাবি এখন দেশ জুড়ে চলছে তার প্রতি সমর্থন জানিয়ে অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাই। আমরা আশা করবো সরকার শিশু কিশোরদের অপ্রয়োজনীয় বইয়ের বোঝা বহন থেকে রক্ষায় জরুরি পদক্ষেপ নেবে।