খেলার খবর

0

দর্শকদের উচ্ছৃঙ্খলতায় ফিফার জরিমানার কবলে বাফুফে
স্পোর্টস ডেস্ক ॥ রেফারির শেষ বাঁশি বাজতেই মাঠে ঢুকে পড়ছেন দর্শক। দেশের ঘরোয়া ফুটবলে এই দৃশ্য বলতে গেলে নিত্য ঘটনা। এমনকি বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক ম্যাচেও এই দৃশ্য চোখে পড়ে। দর্শকদের উচ্ছৃঙ্খলতা রুখতে কিছুই যেন করার নেই বাফুফের। আন্তর্জাতিক ম্যাচে মাঠে দর্শক ঢুকে পড়ায় এবার বড় অঙ্কের জরিমানা গুনতে হচ্ছে দেশের ফুটবলের অভিভাবক সংস্থাকে।গত বছর ১০ অক্টোবর ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের যৌথ বাছাইয়ে কাতারের বিপক্ষে দুর্দান্ত ফুটবল উপহার দিয়েছিল বাংলাদেশ। যদিও ২০২২ বিশ্বকাপ আয়োজকদের বিপক্ষে ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত ০-২ গোলে হেরে যায় জামাল ভূঁইয়ারা। তবে সেই ম্যাচে বাংলাদেশের ফুটবলারদের লড়াই নিশ্চিতভাবেই দর্শকদের চোখে লেগে থাকবে অনেক দিন। ভালো লাগার সেই ম্যাচটিতেই দর্শকদের উচ্ছৃঙ্খলতার কারণে জরিমানার কবলে পড়তে হয়েছে বাফুফেকে।
সেদিন গ্যালারির কাঁটাতার টপকে মাঠে ঢুকে পড়েছিল কিছু দর্শক। ম্যাচ কমিশনার তার প্রতিবেদনে সেটি উল্লেখ করেছেন। তার ভিত্তিতেই ফিফা জরিমানা করেছে বাফুফেকে। ফিফার করা জরিমানার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ, ‘বাংলাদেশ-কাতার ম্যাচে গ্যালারি থেকে কিছু দর্শক মাঠে ঢোকার চেষ্টা করেছিল। সেই ছবি নিয়ে ফিফার কাছে রিপোর্ট করে ম্যাচ কমিশনার। এ জন্য আমাদের ১৫ হাজার সুইস ফ্রাঁ (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৩ লাখ ২২ হাজার ১৩৮ টাকা) জরিমানা করা হয়েছে।’ দর্শকদের কারণে এর আগেও বাফুফেকে জরিমানা করেছিল ফিফা। ২০১৪ রাশিয়া বিশ্বকাপ বাছাইয়ের সময় জরিমানার কবলে পড়েছিল বাফুফে। এদিকে ফিফার জরিমানার সঙ্গে এএফসি থেকেও একটা সতর্কবার্তা পেয়েছে বাফুফে। বাফুফেতে এএফসি বেতনভুক্ত কোচদের অনেকে নিয়মিত হাজিরা খাতায় সাক্ষর না করায় ২৮ হাজার মার্কিন ডলার কেটে নিয়েছে এএফসি। একই সঙ্গে সতর্ক করা হয়েছে ভবিষ্যতের জন্য।

ওয়ার্ল্ড আর্চারির বর্ষসেরার তালিকায় রোমান সানা
স্পোর্টস ডেস্ক ॥ ফেলে আসা বছরটা দুর্দান্ত কেটেছে রোমান সানার। সরাসরি অলিম্পিকে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছেন। ওয়ার্ল্ড আর্চারিতে দেশকে উপহার দিয়েছেন প্রথম পদক। এশিয়া কাপ র‌্যাঙ্কিং টুর্নামেন্টে জিতেছেন স্বর্ণ। বছরের শেষে এসএ গেমসে ব্যক্তিগত ইভেন্টসহ মোট ৩টি স্বর্ণ জিতেছেন এই তারকা। দারুণ সব সাফল্যে বছর পার করা রোমান ওয়ার্ল্ড আর্চারির বর্ষসেরার সংক্ষিপ্ত তালিকাতে ওঠে এসেছেন। বছরের শেষ দিনে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ২০১৯ সালের সেরা নির্চাবনের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করেছে ওয়ার্ল্ড আর্চারি ফেডারেশন। মোট ৯টি ক্যাটাগরির দুটিতে মনোনয়ন পেয়েছেন রোমান। ‘বর্ষসেরা পুরুষ রিকার্ভ আর্চার’ ও ‘ব্রেক থ্রু’ ক্যাটাগরিতে মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি। এছাড়া বাংলাদেশ জাতীয় আর্চারি দলের কোচ মার্টিন ফ্রেডরিক সেরা কোচের তালিকায় মনোনয়োন পেয়েছেন। জানুয়ারি মাসজুড়ো দর্শকদের ভোট গ্রহণ চলবে। সেই ভোটেই নির্বাচিত হবেন বিভিন্ন ক্যাটাগরির সেরারা। ৮ ফেব্রুয়ারি ইন্ডোর আর্চারি ওয়ার্ল্ড সিরিজ আসরের ফাইনালের দিন ২০১৯ সালের বর্ষসেরাদের নাম ঘোষণা করা হবে। রিকার্ভ পুরুষ, রিকার্ভ নারী, কম্পাউন্ড পুরুষ, কম্পাউন্ড নারী, প্যারা পুরুষ ও প্যারা নারী- এই ছয় ক্যাটাগরির সেরা নির্বাচন করা হবে দর্শকদের অনলাইন ভোটিং ও প্যানেল বিশেষজ্ঞদের সমন্তিত ফলাফলের ভিত্তিতে। রিকার্ভ পুরুষ বিভাগে রোমানের সঙ্গে মনোনয়ন পেয়েছেন- যুক্তরাষ্ট্রের ব্র্যাডলি এলিসন, দক্ষিণ কোরিয়ার লি উ সিউক, মালয়েশিয়ার খাইরুল আনোয়ার মুহম্মদ ও ইতালির মাওরো নেসপলি। এদিকে সেরা কোচ, ‘ব্রেক থ্র’ ও বিচারক এই তিন পদে মনোনীতদের মধ্যে সেরা নির্বাচিত হবে প্যানেল বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে। ‘ব্রেক থ্রু’ ক্যাটাগরিতে রোমানের সঙ্গে আছেন- যুক্তরাষ্ট্রের জেমস লুটজ, একই দেশের অ্যালেক্সিস রুইজ, দক্ষিণ কোরিয়ার আন সান, কলম্বিয়ার ভ্যালেন্টিনা অ্যাকোস্তা ও নরওয়ের আন্দ্রেস ফগস্ট্যাড।

নতুন বছরে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা সাকিবের
স্পোর্টস ডেস্ক ॥ সাকিবের আলোকিত ক্যারিয়ারে কালিমা হয়ে থাকবে ২০১৯ সাল। বছরটির শেষের দিকে এসে পেয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা আইসিসি’র নিষেধাজ্ঞা। প্রিয় খেলা থেকে দূরে থাকা তারকা এই অলরাউন্ডার সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। ব্যক্ত করেছেন এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়। নববর্ষ উপলক্ষ ও নতুন দশকের সূচনায় নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে সাকিব লিখেছেন- “২০২০ সাল আমাদের জন্য একটা নতুন দশকের সূচনা। বিগত বছরের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা যেন এগিয়ে যেতে পারি সামনের দিকে। নতুন বছরের শুভেচ্ছা সবাইকে।”উল্লেখ্য, জুয়াড়িদের প্রস্তাব পাওয়ার কথা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে না জানানোয় গত ২৯ অক্টোবর সাকিবকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে আইসিসি। তবে প্রথম এক বছরের মধ্যে আর কোনো বিধি না ভাঙলে পরের বছরের শাস্তি স্থগিত থাকবে।

নতুন বছরে তাসকিনের যা চাওয়া
স্পোর্টস ডেস্ক ॥ বিপিএলটা ভালো যাচ্ছিল না তাসকিন আহমেদের। অথচ আসর শুরুর আগে বিপিএল দিয়েই জাতীয় দলের হারানো জায়গা পুনরুদ্ধারের প্রত্যয় শুনিয়েছিলেন। সেই তাসকিন ২০১৯ সালের শেষ দিনে বল হাতে নিজেকে ফিরে পেয়েছেন। রাজশাহী রয়্যালসের বিপক্ষে ৪ উইকেট নিয়েছেন রংপুর রেঞ্জার্সের এই ডানহাতি স্টাইলিশ পেসার। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে যিনি বলেছেন, নতুন বছরে নিজের মনের কোণে থাকা স্বপ্নগুলোর কথা। এক সময় জাতীয় দলে নিয়মিত মুখ হয়ে উঠেছিলেন তাসকিন। তবে বর্তমানে ২৪ বছর বয়সী পেসারকে নানা চড়াই-উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। গেল বিপিএলে দারুণ পারফরম্যান্সে যখন কামব্যাকের অপেক্ষায় ছিলেন, ইনজুরি পথ আঁকড়ে ধরে তাকে। বিশ্বকাপ স্বপ্ন বিলীন তো হলোই জাতীয় দলের জার্সিটাই আর গায়ে জড়ানো হলো না বছর জুড়ে। তাসকিন সর্বশেষ জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন সেই ২০১৮ সালের মার্চে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে। টেস্ট ও ওয়ানডে সর্বশেষ খেলেছেন ২০১৭ সালের অক্টোবরে। সেই তাসকিনের নতুন বছরে স্বপ্ন আর কিছু নয়, ‘চেষ্টা থাকবে যেন নতুন বছর ভালো যায়। যে জিনিসগুলো ২০১৯ সালে পাওয়ার ইচ্ছে ছিল পাইনি, ২০২০-এ যেন সেগুলো পেতে পারি। আল্লাহ যেন সুস্থ রাখে। মনের ইচ্ছেগুলো যেন পূরণ হয়। নিজের সেরা ক্রিকেট যেন খেলতে পারি। বাংলাদেশের হয়ে যেন সেভাবে প্রতিনিধিত্ব করতে পারি, যে ম্যাচ জেতাতে পারি।’ আগে ছিলেন দলের নিয়মিত খেলোয়াড়। এখন অনিয়মিত। তাসকিনের কাছে মনের ইচ্ছের কথা আলাদা করে জানতে চাইলে বললেন, ‘মনের ইচ্ছে যে বাংলাদেশ দলের হয়ে আগের মতো সব ফরম্যাটে সুযোগ পাওয়া। দলের প্রধান খেলোয়াড় হওয়া, যেটা এক সময় ছিলাম। চার-পাঁচ বছর সব ফরম্যাটে খেলেছি। মাঝে এক-দেড় বছর অনিয়মিত হয়ে পড়েছি। আমার স্বপ্ন থাকবে ভবিষ্যতে যেন আবার প্রধান খেলোয়াড় হই বাংলাদেশ দলের।’