মধুসূদন দত্তের নামে সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে স্মারকলিপি

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের নামে যশোরের সাগরদাঁড়িতে ‘মধুসূদন সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠার দাবি জানানো হয়েছে। মধুসূদন সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন কমিটির প থেকে মঙ্গলবার দুপুরে যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফের কাছে এ বিষয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, বাংলা সাহিত্যের অনন্য মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত সাগরদাঁড়িতে জন্ম নিয়েছেন বলেই যশোর অঞ্চল আজ আলোকিত। সাহিত্যের অনেক খ্যাতিমান কবি-সাহিত্যিক বাংলাদেশে জন্ম না নিলেও ইতিমধ্যে তাদের নামে বিশ্ববিদ্যালয়সহ বড় বড় স্থাপনা নির্মাণ করে তাদেরকে সম্মানিত করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের মাঝে তারা বেঁচে আছেন। অথচ যশোরের প্রত্যন্ত গ্রাম সাগরদাঁড়িতে জন্ম নেওয়া বিশ্ববিখ্যাত মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের নামে আজও বড় কোনো স্থাপনা বা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়নি, যা অনেক আগেই করা উচিত ছিল। সেই উপলব্ধি থেকেই যশোরবাসী এ মহাকবির জন্মভূমি সাগরদাঁড়িতে ‘মধুসূদন সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠার দাবিতে বেশ কয়েক বছর ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ স্মারকলিপি গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় পদপে নেয়ার আশ্বাস দেন।
এ সময় উপস্থিতি ছিলেন মধুসূদন সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক হারুন অর রশীদ, যুগ্ম আহ্বায়ক আইনজীবী আবু বকর সিদ্দিকী, সদস্য সচিব কবি খসরু পারভেজ, সহকারী সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম, কমিটির সদস্য ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় সদস্য সুকুমার দাস, কেশবপুর প্রেস কাবের সভাপতি আশরাফুজ্জামান খান, সিপিবির জেলা কমিটির নেতা আমিনুর রহমান, প্রথম আলোর কেশবপুর প্রতিনিধি দিলীপ মোদক, সিপিবির কেশবপুর উপজেলার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ওয়ার্ড’র নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ আকমল আলী, কেশবপুর উপজেলার বেগমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন মন্ডল প্রমুখ। স্মারকলিপি প্রদান শেষে জেলা প্রশাসনের কার্যালয় চত্বরে সংক্ষিপ্ত বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে বাস্তবায়ন কমিটির নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, আগামী ১৪ জানুয়ারি বিকেলে কেশবপুর ত্রিমোহিনী মোড়ে মানববন্ধন।