শ্রীনগরে তাপমাত্রা মাইনাস ৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ চল্লিশ দিনের ‘চিল্লাই কালান’ চলছে কাশ্মীরের শ্রীনগরে। শীত মওসুমের সবচেয়ে কঠিন ৪০ দিনকে এই অভিধায় অভিহিত করা হয়। এ সময়ে ঘন ঘন তুষারপাত হয়। তাপমাত্রা পড়ে যায় উল্লেখযোগ্যভাবে। রোববারও সেখানকার বিখ্যাত ডাল লেকে তাপমাত্রা ক্রমাগত নেমে যাচ্ছিল। আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে শনিবার দিবাগত রাতে সেখানে এ মওসুমে সবচেয়ে কম তাপমাত্রা ছিল। তা হলো মাইনাস ৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কাশ্মীর উপত্যকা ও লাদাখ ইউনিয়ন টেরিটোরি অঞ্চলজুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল হিমাঙ্কের অনেক নিচে।
এর ফলে পুরো এলাকা ঠাণ্ডায় জমে যায়। এ খবর দিয়েছে অনলাইন জি নিউজ।
একজন কর্মকর্তা বলেছেন, এ বছর এ মওসুমের গড় তাপমাত্রা বেশ কয়েক ডিগ্রি নিচে নেমে গেছে। ফলে জম্মু অঞ্চলে তীব্র হিম শীত গ্রাস করেছে। এই অঞ্চলে সবচেয়ে কম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় মহাসড়ক। এর মধ্যে বানিহল শহরে তো তুষারপাত হয়ই। ওই তাপমাত্রা মাইনাস ২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যায়। এর চেয়ে তাপমাত্রা বেশি ছিল দোদা জেলার ভাদেরওয়াহতে। সেখানে রেকর্ড করা হয়েছে মাইনাস ০.৮ সেলসিয়াস।
ওই কর্মকর্তা আরো বলেছেন, জম্মুতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মওসুমের এই সময়ে সাধারণত যে তাপমাত্রা থাকে এই তাপমাত্রা তার চেয়ে ১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। আগের রাতে এই তাপমাত্রা ছিল ৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রিয়াসি জেলায় অবস্থিত বৈষ্ণ দেবীর সমাধিতে যাওয়ার জন্য তীর্থ যাত্রীদের বেস ক্যাম্প হলো কাত্রা। সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাপত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ওই শহরে শুক্রবার দিবাগত রাত ছিল সবচেয়ে ঠাণ্ডা। ওই সময় পারদস্তম্ভের তাপমাত্রা ছিল ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঘন মেঘের আড়ালে থাকার কারণে সূর্যের আলো আসতে পারছে না পৃথিবীতে। গত এক সপ্তাহ ধরে এই অবস্থা বিরাজমান। সরকারি ওই কর্মকর্তা বলেছেন, শনিবার দিবাগত রাতে শ্রীনগর শহরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে মাইনাস ৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের রাতে তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ শুক্রবার দিবাগত রাতের চেয়েও তাপমাত্রার পতন হয় শনিবার দিবাগত রাতে। এর ফলে ডাল লেকের পানি জমে বরফ হয়ে যায়। অন্য পানি সরবরাহ ব্যবস্থারও একই অবস্থা হয়।