আন্তর্জাতিক সংবাদ

0

নাগরিকত্ব আইন: এবার প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ ইরফান হাবিবকে হেনস্তা
লোকসমাজ ডেস্ক ॥ ভারতে বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হয়েছে প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ ইরফান হাবিব।ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, শনিবার কান্নুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস কংগ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন ইরফান হাবিব। সেখানে কেরালার রাজ্যপাল আরিফ মোহাম্মদ খান নাগরিকত্ব আইনের সপক্ষে বলতে শুরু করলে মঞ্চ থেকেই প্রতিবাদ জানান এই ইতিহাসবিদ। তাকে সমর্থন দেন দর্শকেরাও। পরে রাজ্যপালের টুইটার পোস্টে অভিযোগ করা হয়, ইরফান হাবিব শুধু রাজ্যপালের বক্তৃতায় বাধাই দেননি, তার নিরাপত্তা কর্মকর্তাদেরও ধাক্কা মেরেছেন। কিন্তু ৮৮ বছর বয়সী এই ইতিহাসবিদ কীভাবে এমন কাণ্ড করতে পারলেন এতেই অবাক হয়ে যান সুধীমহল। বরং ঘটনার সময় মঞ্চের কাছে থাকা সংগঠনের লোকজন এবং শিক্ষকদের বক্তব্য, রাজ্যপালের নিরাপত্তারক্ষীরাই হাবিবকে ঠেলে সরিয়ে দিয়েছে। রাজ্যপালের টুইটারে যে সব ছবি টুইট করা হয়েছে, তাতেও স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, কখনো হাবিবকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে, কখনো বা তার হাত ধরে রেখেছে রাজ্যপালের কর্মকর্তারা। রাজ্যপাল তার বক্তৃতায় নাগরিকত্ব আইন, এনআরসি এবং কাশ্মীর প্রসঙ্গ উত্থাপন করতেই অধিবেশনের এক দল প্রতিনিধি প্রতিবাদ জানাতে শুরু করে। তারা এ সময় নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসি বিরোধী প্ল্যাকার্ড তুলে ধরেন। মঞ্চে উপস্থিত ইরফান হাবিবকেও উঠে দাঁড়িয়ে কিছু বলার চেষ্টা করতে দেখা যায়। সেসময় তাকে হেনস্তার ঘটনা ঘটে। বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে কেরালার পুলিশ কয়েকজনকে আটকও করে। পরে মঞ্চ থেকেই ইতিহাস কংগ্রেসের সম্পাদিকা অধ্যাপিকা মহালক্ষ্মী রামকৃষ্ণন অবিলম্বে বিক্ষোভকারীদের মুক্তি দাবি করেন। এরপরেই আটককৃতদের ছেড়ে দেয় পুলিশ।

চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে ‘হত্যাযজ্ঞে’ রেকর্ড
লোকসমাজ ডেস্ক ॥ অন্য যেকোনো বছরের চেয়ে ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি ‘হত্যাযজ্ঞ (মাস কিলিং) তথা একই ঘটনায় চার বা ততোধিক ব্যক্তিকে’ হত্যার ঘটনা ঘটেছে। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি), ইউএসএ টুডে এবং নর্থ-ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির সমন্বিত তথ্যভাণ্ডারে এমন চিত্র ওঠে এসেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। এই তথ্যভাণ্ডার অনুযায়ী, ২০১৯ সালে এ ধরনের হত্যাযজ্ঞের ৪১টি ঘটনায় মোট ২১১ জন নিহত হয়েছেন। এক্ষেত্রে ঘাতক ছাড়া চার বা ততোধিক ব্যক্তি একই ঘটনায় নিহত হলে এটাকে ‘মাস কিলিং বা হত্যাযজ্ঞ’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। এসব ঘটনার মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাণঘাতী ছিল মে মাসে ভার্জিনিয়া সৈকতে ১২ জনকে হত্যা এবং আগস্টে এল পাসো-তে ২২ জনকে হত্যা। তথ্যভাণ্ডার অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ৪১টি হত্যাযজ্ঞের মধ্যে ৩৩টি ছিল আগ্নেয়াস্ত্র ঘটিত। ক্যালিফোর্নিয়ায় সবচেয়ে বেশি আটটি হত্যাযজ্ঞের ঘটনা ঘটে। এই তথ্যভাণ্ডারে ২০০৬ সাল নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রে সংঘটিত সব হত্যাযজ্ঞের তথ্য সন্নিবেশিত করা হয়। অবশ্য গবেষকরা বলেছেন, ১৯৭০ সাল নাগাদ এত বেশি হত্যাযজ্ঞের ঘটনা ঘটেনি। এ ধরনের হত্যাযজ্ঞ ২০০৬ সালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৮টি সংঘটিত হয়। যদিও ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি হত্যাযজ্ঞের ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু প্রাণহানির হিসেবে সবচেয়ে রক্তাক্ত বছর ২০১৭ সাল। ওই বছর এ ধরনের হামলায় ২২৪ জন নিহত হয়েছে। লাস ভেগাসের এক উৎসবেই বন্দুক হামলায় নিহত হয়েছিল ৫৯ জন যা এ ধরনের ঘটনায় দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী।

ট্রাম্প পুননির্বাচিত হলে হোয়াইট হাউস ছাড়ার ইঙ্গিত ইভাঙ্কার
লোকসমাজ ডেস্ক ॥ আগামী বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাবা ডনাল্ড ট্রাম্প ফের নির্বাচিত হওয়ার পর হোয়াইট হাউসের পদ ছাড়তে পারেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন ইভাঙ্কা ট্রাম্প। মার্কিন গণমাধ্যম সিবিএসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ৩৮ বছর বয়সী এ নারী রাজনীতিকে ‘কম আকর্ষণীয়’ এবং ‘সন্তানরাই তার কাছে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার পায়’ মন্তব্য করেছেন বলেও এনডিটিভিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। “আমার সন্তানরা এবং তাদের সুখই সর্বাগ্রে আমাকে সবচেয়ে বেশি তাড়িত করে,” আসন্ন নির্বাচনে বাবা জিতলে ফের তার প্রশাসনে কাজ করবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন ট্রাম্পের উপদেষ্টা ইভাঙ্কা। সিবিএসের ‘ফেইস দ্য নেশন’ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “তাদের (সন্তান) দরকারই যেন সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার পায় সেজন্য আমার সিদ্ধান্ত সবসময়ই দোলাচলের মধ্যে থাকে। এ উত্তরের জন্য তারাই আমাকে সবচেয়ে বেশি তাড়িত করবে।” বাবার হয়ে প্রচারে দেশের প্রতিটি রাজ্যে ঘুরেছেন জানালেও তার কাজ এখনও ‘শেষ হয়নি’ বলেও মনে করেন ৩৮ বছর বয়সী এ নারী। “আমরা অনেক কিছুই করেছি, যদিও তা যথেষ্ট নয়,” বলেছেন তিনি। কখনো নির্বাচনে দাঁড়াবেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে হোয়াইট হাউসের এ উপদেষ্টা বলেন, “সত্যি বললে, আমার কাছে রাজনীতিকে কম আকর্ষণীয় মনে হয়।” ইভাঙ্কার পাশাপাশি তার স্বামী জ্যারেড কুশনারও ২০১৭ সাল থেকেই ট্রাম্প প্রশাসনে কাজ করে আসছেন। ২০১৬-র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারেও রিপাবলিকান শিবিরের হয়ে এ দম্পতির অনবদ্য ভূমিকা ছিল।