নড়াইলে কমরেড হেমন্ত সরকারের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

0

নড়াইল সংবাদদাতা ॥ নড়াইলে তে-ভাগা আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃত ও প্রখ্যাত কমিউনিস্ট নেতা কমরেড হেমন্ত সরকারের একবিংশ মৃত্যুবার্ষিক পালিত হয়েছে। এ উপলে শনিবার কমরেড হেমন্ত সরকার স্মৃতিরা কমিটির আয়োজনে নানা কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিল প্রয়াত কমরেডের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, স্মরণসভা ও গ্রামীণ মেলা। সকাল ১০টায় কমরেডের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে দিনব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড ফজলে হোসেন বাদশা এমপি। রবীন্দ্রনাথ অধিকারীর সভাপতিত্বে সমাধিস্থলে আয়োজিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য কমরেড আনিসুর রহমান মল্লিক, পলিটব্যুরো সদস্য কমরেড মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি ও নড়াইল জেলা ওর্য়াকার্স পার্টির সভাপতি কমরেড নজরুল ইসলাম।
কমরেড ফজলে হোসেন বাদশা এমপি বলেন, কমরেড হেমন্ত সরকারের রাজনৈতিক মতাদর্শের সাথেই আছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। তার প্রদর্শিত জনগণতান্ত্রিক বিপ্লবের মাধ্যমে শোষণহীন সমাজব্যবস্থা কায়েমের ল্েযই এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। সময়ের প্রয়োজনে কৌশল ভিন্ন হতে পারে। কমরেড হেমন্ত সরকার ১৯১০ সালে নড়াইল সদর উপজেলার বড়েন্দার গ্রামে এক গরিব কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। দারিদ্র্যের কারণে তিনি প্রাতিষ্ঠানিক শিার সুযোগ থেকে বঞ্চিত ছিলেন। প্রথম জীবনে তিনি নড়াইলের প্রতাপশালী জমিদারদের লাঠিয়াল হিসেবে কাজ করতেন। পরে উপমহাদেশের প্রখ্যাত কমিউনিস্ট নেতা কমরেড অমল সেনের সংস্পর্শে এসে মার্কসবাদের দীা নেন এবং সবকিছু ছেড়ে কমিউনিস্ট আন্দোলনে নিজেকে উৎসর্গ করেন। চল্লিশের দশকে তিনি তে-ভাগা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। অকৃতদার এই নেতা তাঁর ৮৮ বছরের জীবনকালের মধ্যে ৬০ বছরই কাটিয়েছেন জেলখানায় ও আত্মগোপন করে। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি কখনও আদর্শের সাথে আপোষ করেননি। ১৯৯৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর ভোরে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।