কনকনে শীতের মাঝে যশোরে দেখা মিললো স্বস্তির রোদ

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ টানা তিনদিন পর অবশেষে শনিবার দুপুরে যশোরে রোদের দেখা মেলে। রোদ উঠলেও শীতের তীব্রতা আগের মতই ছিলো। তবে কনকনে ঠান্ডার মাঝে মিষ্টি রোদ দেখা পাওয়ায় স্বস্তি দেখা দেয় কর্মব্যস্ত মানুষের মাঝে। দুপুরের পর বিভিন্ন এলাকায় মানুষকে রোদ পোহাতে দেখা যায়।
যশোর বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটির আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, শনিবার যশোরে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা অনেকটা স্বাভাবিক তাপমাত্রা। তবে বিকেলের দিক থেকে এ অঞ্চলে মৃদু শৈত্য প্রবাহ শুরু হয়েছে। যা আজ রোববার ও সোমবার পর্যন্ত বলবৎ থাকতে পারে। এ সময়ে তাপমাত্রা ২ থেকে তিন ডিগ্রি কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
গত এক সপ্তাহ ধরে যশোরসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে শীতের তীব্রতা দেখা দেয়। এ সময়ে এ অঞ্চলের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করে। তীব্র শীতের কারণে এ কদিন এ অঞ্চলের মানুষকে চরম কষ্ট ভোগ করতে হয়। বিশেষ করে কর্মব্যস্ত মানুষের ভোগান্তির শেষ ছিলো না। মানুষের কাজ কর্ম থমকে দেয় কুয়াশা আর হিমেল বাতাস। এমনি পরিস্থিতিতে শনিবার দুপুর থেকে রোদের দেখা মেলায় মানুষের মাঝে উৎফুল্লতা দেখা যায়। শহর ও গ্রামাঞ্চলের শহর-বাজারে মানুষের উপস্থিতিও বেড়ে যায়। এদিকে কুয়াশা কেটে রোদের দেখা দেওয়ায় গতকাল যশোর বিমানবন্দরে বিমান চলাচল স্বাভাবিক ছিলো। সকাল ও বিকেলের দিকের ফাইটগুলো যথাসময়ে যশোর বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে গেছে। ইউএস বাংলার যশোর বিমান বন্দরের ম্যানেজার সাব্বির হোসেন বলেন, শুক্রবারের মতো শনিবারও বিমান চলাচলে কোনো সমস্যা হয়নি। সবকটি ফাইট যথাসময়ে ছেড়ে গেছে। তবে বিমান ছেড়ে গেলেও বাস ও ট্রেন যাত্রায় ভোগান্তি আগের মত আছে। শুক্রবার রাতেও দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া ঘাটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় রাতের বেলায় কোনো বাস পার হতে পারেনি। যেকারণে অধিকাংশ পরিবহন সকালের দিকে যশোরের এসে পৌছে। ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় না হলেও দুই থেকে তিন ঘন্টা দেরিতে যশোর রেলস্টেশন থেকে যাতায়াত করছে। এতে যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়ে। যশোর রেলস্টেশনের সূত্রে জানা গেছে, ঘন কুয়াশার কারণে ট্রেনের গতি কমিয়ে দিয়ে যাতায়াত করছে। যেকারণে দেরিতে ট্রেন গন্তব্যে পৌছাচ্ছে।