আ.লীগ নেতা ফুল ও ঢোল রফিক কারাগারে, শাহারুল শ্যোন অ্যারেস্ট

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গত শনিবার রাতে যশোরে বিশেষ অভিযান চালিয়ে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ফুল ও জেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ওরফে ঢোল রফিককে পুলিশ আটক করেছে।

পুলিশ বলছে, বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য শহরের ঘোপের একটি প্রেসে গোপনে যুবলীগের নামে ব্যানার তৈরি করা হচ্ছিলো। এ ঘটনায় তাদের সম্পৃক্ততা তদন্তে উঠে এসেছে। এ মামলায় পূর্বে আটক দেবু মল্লিকের একদিনর রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। একই সাথে ঢাকায় আটক সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহরুল ইসলামকে এ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখাতে বলেছে আদালত।

ডিবি পুলিশের ওসি মো. মঞ্জুরুল হক ভূঞা জানান, গত শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের একটি টিম সদর উপজেলার বাহাদুরপুরে নিজ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম ফুলকে আটক করেন। তিনি একই গ্রামের মৃত মঞ্জুর আলীর ছেলে। আটকের পর রফিকুল ইসলাম ফুলকে কোতয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়।

এদিকে একই রাতে কোতয়ালি থানা পুলিশের এসআই দেবাশীষ হালদার জেলা যুবলীগের নেতা রফিকুল ইসলাম ওরফে ঢোল রফিককে শহরের পুরাতন কসবা বিমান অফিস মোড় এলাকা থেকে আটক করেন। তিনি পুরাতন কসবা নিরিবিলি এলাকার মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে।

কোতয়ালি থানা পুলিশের এসআই অমৃত লাল দাস জানান, সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড ব্যাহত করতে এবং ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের একটি ডিজিটাল প্রিন্টিং প্রেসে যুবলীগের নামে গোপনে ব্যানার তৈরি করা হচ্ছিলো। এ খবর পেয়ে গত ২৯ অক্টোবর গভীর রাতে সেখানে অভিযান চালিয়ে দুই জনকে আটক করা হয়।

এরা হলেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুলের ম্যানেজার দেব প্রসাদ মল্লিক এবং প্রেস মালিক নাহিদ বিল্লাহ। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলা তদন্তকালে প্রকাশ পায়, এর সাথে রফিকুল ইসলাম ফুল এবং রফিকুল ইসলাম ওরফে ঢোল রফিকের সম্পৃক্ততা রয়েছে। এ কারণে তাদেরকে আটক করা হয়েছে। রোববার আটক দুই জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বাহাদুরপুর এলাকার একটি সূত্র জানায়, বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আমলে রফিকুল ইসলাম ফুল বাহাদুরপুর ও আশেপাশের এলাকার মানুষকে নানাভাবে অত্যাচার করেছেন। বিশেষ করে কোতয়ালি থানায় গিয়ে পুলিশের দালালি করতেন। তিনি বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দিতেন।

অপরদিকে একই ঘটনায় ইতোপূর্বে আটক জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুলের ম্যানেজার দেব প্রসাদ মল্লিক এবং প্রেস মালিক নাহিদ বিল্লাহর রোববার ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। পুলিশের করা আবেদনের শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শান্তনু কুমার মন্ডল তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালি থানা পুলিশের এসআই অমৃত লাল দাস আদালতে তাদের ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়েছেন।

একই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সন্ত্রাসী শাহারুল ইসলাম। সম্প্রতি ঢাকার শিশু মেলা এলাকা থেকে তাকে জনগণ আটক করেন। পরে তাকে শেরে বাংলা থানায় সোপর্দ করা হয়। পরবর্তীতে যশোর কোতয়ালি থানার পুলিশ জানতে পেরে তাকে এই মামলায় শ্যোন অ্যারেস্টের জন্য আদালতে আবেদন করেন। আদালত শ্যোন অ্যারেস্টের আবেদন মঞ্জুর করেছে বলে জানা গেছে।