নড়াইলে পিতা- ছেলে আটক, সড়কি উদ্ধার

0

নড়াইল সংবাদদাতা॥ নড়াইলের নড়াগাতী থানার জয়নগর ইউনিয়নের রামপুরা গ্রামে এক পিতা ও তার ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার রাত ১১টার দিকে পুঠিমারী গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। এরা হলেন-রামপুরা গ্রামের লাভলু খান লাবু (৪৭) ও তার ছেলে রাব্বি খান (২১)।

রোববার বিকেলে লাবু তার ভাই বাবলু খান (৬০) ও ভাতিজা সাজ্জাদুল আলম খান বাপ্পীকে (৪২) কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন। এ সময় লাবুর ছেলে রাব্বিও তাদের ওপর হামলা করে। এ ঘটনার প্রায় পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার হন অভিযুক্ত লাবু ও তার ছেলে রাব্বি। নড়াগাতী থানার ওসি আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে এ অভিযান চলে।

এ সময় ঘটনাস্থল থেকে বাঁশের হাতলযুক্ত দুইটি লোহার সড়কি ও কাঠের হাতলযুক্ত একটি ধারালো হাসুয়া উদ্ধার করে পুলিশ। অভিযোগ রয়েছে, এই সড়কি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে ভাই এবং ভাতিজাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে লাবু ও তার ছেলে।

আহত বাবলু ও তার ছেলে বাপ্পীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, রোববার বিকেলে নড়াইলের নড়াগাতী থানার রামপুরা গ্রামের বাবলু খান পারিবারিক কলহে তার স্ত্রী আঞ্জুমান বেগম পপিকে মারধর করতে গেলে তিনি (পপি) দৌড়ে দেবর লাবুর উঠানে যান। বাবলু তার স্ত্রী পপিকে মারধর করতে গেলে ছোট ভাই লাবু নিষেধ করেন। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও বাদানুবাদ শুরু হয়।

এ সময় বাবলু খানের ছেলে বাপ্পি তালের লাঠি দিয়ে তার চাচা লাবুকে আঘাত করেন। এ সময় লাবু ঘর থেকে ধারালো অস্ত্র হাসুয়া নিয়ে বড় ভাই বাবলুকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। এরপর সড়কি দিয়ে লাবু ভাতিজা বাপ্পির বুকে কোপ দিয়ে রক্তাক্ত করেন।

এ সময় লাবুর ছেলে রাব্বিও বাপ্পিকে সড়কি দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাবলু ও তার ছেলে বাপ্পিকে প্রথমে গোপালগঞ্জ ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

নড়াগাতী থানার ওসি আশিকুর রহমান জানান, দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি।