ঝিকরগাছায় খাস জমি থেকে দুটি ভবন সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশের বিরুদ্ধে মামলা

0

তরিকুল ইসলাম, ঝিকরগাছা (যশোর) ॥ ঝিকরগাছা উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের পাল্লাবাজারে খাস জমিতে অবৈধভাবে নির্মাণ করা দুটি ভবন সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়ায় আদালতে মামলা হয়েছে। পাল্লা গ্রামের মৃত মোজাহার আলীর ছেলে ভবন মালিক আজিম উদ্দিন যশোরের জেলা প্রশাসক,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), জিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে বিবাদী করে মামলা করেছেন।

মামলার কারণে টেন্ডার হওয়া পাল্লাবাজারে ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (২৭ মে) এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভূপালী সরকার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাভিদ সারওয়ার ও ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আবুল খায়ের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযোগের সত্যতা পান। এ সময় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, ব্যবসায়ী পেশাজীবীসহ বিপুল সংখ্যক উৎসুক জনতা উপস্থিত ছিলেন।

সরকারি জমিতে অবৈধ ভাবে নির্মিত ভবনের মালিকপক্ষ কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন। ঘটনার পরদিন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে শিমুলিয়া অস্থায়ী ইউনিয়ন ভূমি সরকারি কর্মকর্তা আবুল খায়ের ও সার্ভেয়ার সাইফুল ইসলাম সরেজমিন পরিমাপপূর্বক খাসজমির সীমানা নির্ধারণ করে ‘লাল নিশানা’ টানিয়ে দেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভূপালী সরকার বলেন, ‘যেকোনো ব্যক্তি বিজ্ঞ আদালতের শরণাপন্ন হতেই পারেন। আমরা এ ব্যাপারে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু করেছি। দু একদিনের মধ্যে বিজ্ঞ আদালতে জবাব দাখিল করা হবে।’ চলতি জুনের মধ্যে প্রস্তাবিত শিমুলিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। প্রকল্প বরাদ্দ আমরা পেয়েছি। এখনই এ ব্যাপারে অনিশ্চয়তার কিছু দেখছি না।

উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) সাইফুল ইসলাম মোল্লা বলেন, এর আগে আমরা প্রস্তাবিত স্থানের মাটি পরীক্ষা, নকশা প্রণয়ন ও অনুমোদনসহ টেন্ডার প্রক্রিয়াও সম্পন্ন করেছি। কার্যাদেশ দেওয়ায় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে জায়গা বুঝে দিলে তিনি কাজ শুরু করতে পারেন।

এ ব্যাপারে শিমুলিয়া ইউনিয়নবাসীর পক্ষে পাল্লাবাজার পেরিফেরিভুক্ত খাস জমিসহ আজমপুর ও উত্তররাজাপুর বাঁওড়ের প্রায় ৩০একর সখাসজমি উদ্ধার কমিটির সভাপতি শাহজাহান আলী বলেন, প্রস্তাবিত ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণসহ ইউনিয়নের সকল খাস জমি উদ্ধারে আমরা ইতঃপূর্বে তিন গ্রামের মানুষ একত্রিত হয়ে সংবাদ সম্মেলন করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছি। আশা করছি আমাদের ন্যায্য দাবির পক্ষে প্রশাসন ইতিবাচক পদক্ষেপ নেবেন।

আমরা এ দাবিতে অনড় ও অবিচল। প্রয়োজনে দাবি আদায়ে আমার ইউনিয়নের ১৬ গ্রামের মানুষকে ন্যায্য দাবির পক্ষে কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।