শ্রদ্ধায় স্মরণ মহান ভাষা শহীদদের

0

স্টাফ রিপোর্টার॥ আজ একুশে ফেব্রুয়ারি। মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। বাংলা ভাষার দাবিতে প্রাণদানের গৌরবোজ্জ্বল মাতৃভাষা আন্দোলনের আজ ৭৩ বছর পূর্ণ হলো। দিনটি যথাযথ মর্যাদায় পালন করছে বাঙালি। মহান ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে দিবসের প্রথম প্রহর থেকে শহীদ মিনারে সমাবেত হয়েছেন মানুষ।

১৯৫২ সালের এইদিনে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর তৎকালীন পুলিশ নির্মমভাবে গুলিবর্ষণ করে। এতে কয়েকজন ছাত্র শহীদ হন। তাদের মধ্যে সালাম, বরকত, রফিক, শফিউর, জব্বার অন্যতম। তাই দিনটিকে শহীদ দিবস বলা হয়ে থাকে। আর ২০১০ সালে জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারিকে সারাবিশ্বে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। তাই দিনটি বাঙালি জাতি ও বাংলা ভাষা ব্যবহারকারীদের জন্য গৌরবোজ্জ্বলের।
রাজধানীতে দিবসের প্রথম প্রহরে বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এরপর ১২টা ৪০ মিনিটে জনসাধারণের জন্য উম্মুক্ত করে দেওয়া হলে জনসাধারণের ঢল নামে শহীদ মিনারে।
দিবসটি উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটির দিন। দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভবনে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে। এছাড়া উত্তোলন করা হয়েছে কালো পতাকা।

যশোরে দিবসের প্রথম প্রহরে যশোরে প্রশাসনসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক সংগঠন  শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে।

যশোর সরকারি এমএম কলেজস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাত ১২টা ১ মিনিটে ভাষা শহীদদের প্রতি প্রথম শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম। এরপর পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ,মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দলোন,যশোর জেলা বিএনপি, যশোর প্রেসক্লাব, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়ন, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোর, ছাত্রদল, যশোর সিভিল সার্জন, যশোর পৌরসভাসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করা হয়। দিন বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে আসা মানুষের সংখ্যা।