যশোরে বিএনপরি সমাবেশে জনতার ঢল 

0

বি এম আসাদ ॥ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তৃতা শুনতে গতকাল টাউন হল মাঠে জনতার ঢল নামে। মাঠে জায়গা না পেয়ে মানুষ বিভিন্ন ভবনের ছাদে, মাঠের সীমানা প্রাচীরের উপর ও রাস্তায় অবস্থান নেয়।

সকাল থেকেই দলে দলে মাঠে আসতে থাকে নেতাকর্মিরা। ঘড়ির কাটা যখন ৩টা, কানায় কানায় ভরে যায় যশোর টাউন হল ময়দান। লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে সমাবেশস্থল। মাঠে জায়গা না হওয়ায় চারিদিকের প্রাচিরের উপর কেউবা বিভিন্ন ভবনের ছাদে বসে সমাবেশের বক্তব্য শ্রবণ করেন নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। এছাড়াও শহরের দড়াটানা হতে আইনজীবী সমিতির মোড়, পোস্ট অফিসের সামনের রোড, এমএম আলী রোড, ল্যাবস্ক্যান মোড ও চিত্রা মোড়ে রাস্তা উপর দাড়িয়ে প্রধান অতিথি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য শুনেন কর্মিরা।

বাঘারপাড়ার পুকুরিয়া গ্রাম থেকে সমাবেশে আসেন ৫০ বছর বয়স্ক ওলিয়ার রহমান। তিনি জানান, বিএনপিকে ভালবাসেন বলে গত ১৬ বছর ধরে ঘরে ঠিকমত ঘুমাতে পারেননি। গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে। এখন ফ্যাসিস্টর নেই, তাই উৎসাহ নিয়ে সমাবেশে যোগ দিয়েছেন। এ জন্য তিনি কারোর প্রতি নির্ভর করেননি। নিজেই চলে এসেছেন মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্য শুনতে।

শার্শা উপজেলার শ্যামলাগাছি গ্রামের মোশররফ হোসেন বলেন, বিএনপি করেন বলে ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে অনেক সমাবেশে যোগ দিতে পারতেন না। নানা হুমকি-ধামকির ভেতরে থাকতেন। এখন সে ভয় নেই। যারা ক্ষমতায় ছিল তারা পালিয়েছে। খোলামনে স্বস্তি নিয়ে নির্ভয়ে তিনি সমাবেশে এসেছেন।

হুদা চৌগাছার আমজাদ হোসেন বিশ্বাস আসেন সমাবেশে। তিনি চৌগাছা পৌর বিএনপি সক্রিয় সদস্য। নানা দলন-নিপীড়নেও বিএনপি ত্যাগ করেননি। নিজে পথ খরচ দিয়ে সমাবেশে এসেছেন। পরিবারের লোকজনদেরও নিয়ে এসেছেন।

শুধু আমজাদ, ওলিয়ার কিংবা মোশারফ হোসেন নয়। তাদের মতো হাজার হাজার মানুষ নির্যাতিত হয়েছেন গত আওয়ামী লীগ আমলে। নির্যাতিত মানুষগুলো সকলে ভালোবেসে আসেন সমাবেশে।