দুধ বা পানিতে হলুদ মিশিয়ে খেলে কি সত্যিই সৌন্দর্য বাড়ে

0
হলুদ দিয়ে তৈরি করা পানীয় নিঃসন্দেহে স্বাস্থ্যকর

লোকসমাজ ডেস্ক॥ প্রকৃতপক্ষে সৌন্দর্য মানে কিন্তু উজ্জ্বল গায়ের রং, দীঘল চুল কিংবা চাকচিক্যের বাহার নয়; বরং সৌন্দর্যের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে আছে অন্তরাত্মার প্রশান্তি। অকৃত্রিম সৌন্দর্যের জন্য জীবনধারা হতে হবে স্বাস্থ্যকর। পুষ্টিকর খাবারদাবার, পর্যাপ্ত তরল গ্রহণ, ঠিকঠাক ঘুম আর মানসিক শান্তি-যেকোনো একটির ব্যাঘাত ঘটলেই নষ্ট হতে পারে সৌন্দর্য। এসবের বাইরে নিয়মিত খানিকটা যত্নেরও অবশ্য প্রয়োজন হয়।

হলুদ দিয়ে তৈরি করা পানীয় নিঃসন্দেহে স্বাস্থ্যকর। আয়ুর্বেদ মতে, হলুদ এমন এক উপকরণ, যা রক্তের প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতেও সহায়ক। পরোক্ষভাবে ত্বক ও চুলের সুস্থতার জন্য উপকারী। তবে তার মানে কিন্তু এই নয় যে হলুদ মেশানো পানীয় খেলে কারও গায়ের রং বদলে যাবে কিংবা চুল গজাবে। এমনটাই জানালেন হারমনি স্পার আয়ুর্বেদিক রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা।

সকালে খেতে পারেন হলুদ মেশানো পানি
হলুদ এক ইঞ্চি করে কেটে ছোট ছোট টুকরা করে নিন। এক গ্লাস পানি, ৭-৮টি পুদিনাপাতা, এক টেবিল চামচ লেবুর রস ও সামান্য বিটলবণও নিন। সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ড করে ফেলুন। চাইলে ব্লেন্ড করার আগে এক চা-চামচ মধুও যোগ করতে পারেন। রোজ সকালে নাশতার আধা ঘণ্টা পর পানীয়টি খেয়ে নিন। আপনার ত্বক এবং চুলের সুস্থতা তো বটেই, শরীরের সার্বিক সুস্থতাতেই সহায়ক ভূমিকা রাখবে এই পানীয়।

কিংবা রাতে দুধ-হলুদে তৈরি পানীয়
হলুদ বাটা নিন এক টেবিল চামচ কিংবা এক ইঞ্চি করে ছোট ছোট টুকরা করে ব্লেন্ড করে নিন। এবার এক গ্লাস উষ্ণ দুধের সঙ্গে এই বাটা বা ব্লেন্ড করা হলুদ খুব ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। চাইলে এক চা-চামচ মধুও যোগ করা যেতে পারে। রোজ রাতে ঘুমের আগে খেয়ে নিতে পারেন এই পুষ্টিকর পানীয়।

শেষ কথা
প্রচলিত সামাজিক ভাবনার জালে জড়িয়ে কেউ কেউ সৌন্দর্যের মূল অনুভবটাই হারিয়ে ফেলেন। আপনি যে ধরনের সামগ্রী দিয়েই রূপচর্চা করুন কিংবা সৌন্দর্য বাড়ানোর প্রচেষ্টায় যা কিছুই গ্রহণ করুন না কেন, নিজের অন্তরাত্মার যত্ন নেওয়ার বিকল্প নেই। প্রশান্তি আনুন জীবনধারায়। যন্ত্রের ওপর নির্ভরতা কমান। সময়মতো ঘুমান। ভোরে ঘুম থেকে উঠুন। সময় কাজে লাগান। সম্পর্কগুলোর যত্ন নিন। জীবন উপভোগ করুন, উপভোগ করুন পৃথিবীর সৌন্দর্য। সত্যিকার সৌন্দর্য আপনার কাছে ধরা দেবেই।