৭৫ থেকে শিক্ষা নিলে আ. লীগের করুণ পরিণতি হতো না : আবুল কাসেম ফজলুল হক

0
ছবি: সংগৃহীত।
লোকসমাজ ডেস্ক॥ ১৯৭৫ থেকে শিক্ষা নিলে ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগের করুণ পরিণতি হতো না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক।

জুলাই হত্যাকাণ্ডের দায় আওয়ামী লীগ এড়াতে পারে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোনো হত্যাকাণ্ডই প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি ছাড়া হয়নি। আওয়ামী লীগ আমলে ভিন্নমত পোষণকারীদের নির্মমভাবে দমন করা হতো। তারা গুম, হত্যা, টর্চার সেল ও আয়নাঘরের মতো নির্যাতন কেন্দ্র করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। ’৭৫ এর অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিলে ’২৪-এ এসে আওয়ামী লীগের এই করুণ পরিণতি হতো না।

শনিবার (৪ জানুয়ারি) রাজধানীর এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে ‘জুলাই হত্যাকাণ্ডের দায়ে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরাজয়’ নিয়ে এক ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

আওয়ামী লীগের রাজনীতি ধাপে ধাপে দূষিত হয়েছে মন্তব্য করে অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, ‘ক্ষমতায় থাকাকালে আওয়ামী লীগ বিচারব্যবস্থাকে বিতর্কিত করে দলীয় বিবেচনায় বিচারক নিয়োগ দিয়েছে।

হাইকোর্ট ডিভিশন ও সুপ্রিম কোর্ট থেকে যেসব রাজনৈতিক মামলার রায় হয়েছে; সেসব রায়ের প্রতি মানুষের আস্থা ছিল না। ফলে বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা কমে যায়।’
শেখ মুজিব মুক্তিযুদ্ধে যাননি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শেখ মুজিবের সঙ্গে ইয়াহিয়া খানের টেলিফোনে যোগাযোগ ছিল। তাকে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতির জন্য তাজউদ্দীন আহমেদ, ড. কামাল হোসেন ও ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম বারবার বললেও তিনি বাসা ছেড়ে কোথাও যেতে সম্মত হননি।
শেখ মুজিব মুক্তিযুদ্ধে যাননি। আওয়ামী লীগ শেখ মুজিবকে ইতিহাসের নায়ক করতে গিয়ে অনেক জাতীয় নেতার অবদান ইতিহাস থেকে মুছে ফেলেছে। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের ব্যর্থতার কারণে ’৭৪-এর দুর্ভিক্ষ হয়েছে। সে সময় প্রতিদিনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অনেক ক্ষুধার্ত মানুষকে মারা যেতে দেখা গেছে।’
সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, ‘৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবের মুখে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে গেলেও রেখে গেছে হত্যাযজ্ঞের নির্মম চিহ্ন। রক্তে আঁকা এই ইতিহাস দেশের সবচেয়ে বড় কালো দাগ। এই গণহত্যার দায় আওয়ামী লীগ এড়াতে পারে না।’ জুলাই বিপ্লবে শহীদরা জাতীয় বীর হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছেন।