কোটচাঁদপুরে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে অব্যবস্থাপনা, ইউএনওকে হেনস্থা গাড়ি ভাঙচুর

0

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ ।। ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে বিজয় দিবস অনুষ্ঠানের অব্যবস্থাপনা দেখে মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মেকে হেনস্থা করেছে। এ সময় তার গাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ভাঙচুর করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকালে সোয়া ৮টার দিকে কোটচাঁদপুর শহরের বালক বিদ্যালয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে।

প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান, কোটচাঁদপুর উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি বিজয় দিবসের দিন মনোরম করে সাজানো হয়। প্রতিবছর উপজেলা এবং পৌরসভা শহীদ মিনার ধোয়ামোছা ও পরিস্কার করলেও এবার করা হয়নি। মাইকের কোন ব্যবস্থা ছিল না। বিশৃঙ্খলারোধে নিরাপত্তা বেষ্টনিও তৈরি করা হয়নি। তাছাড়া সকাল ৮টায় উপজেলা প্রশাসন প্রথম শ্রদ্ধা জানানোর পরই রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। কিন্তু ইউএনও উছেন মে আসেন নির্ধারিত সময়ের পর। এতে উপস্থিত জনতা আরো ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। ইউএনও’র দেরিতে আসার সঙ্গে যোগ হয় অব্যাস্থপনার চিত্র। সকাল ৮টা পাঁচ মিনিটে গাড়ি থেকে নামার সাথে সাথে বিক্ষুব্ধ জনতা তাকে ঘিরে ধরে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। এ সময় ইউএনও উছেন মে প্রতিউত্তর দিতে গেলে জনতা তাকে হেনস্থা করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের পাশাপাশি পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা ইউএনওকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেন। এরপর সকাল ১০টার দিকে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সেনাবাহিনী এবং পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনসহ উপজেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করেন। কোটচাঁদপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক জানান, আয়োজকদের অব্যবস্থাপনার কারণে সাধারণ মানুষ নাখোশ ছিল। পরে অবশ্য ঠিক হয়ে গেছে। এ সময় কিছু মানুষ ইউএনওর গাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষোপ করে ভাঙচুর করে।

জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুল আওয়াল জানান, পুলিশ সুপার ও কোটচাঁদপুর ইউএনওর ফোন পেয়ে ঘটনাটি জানতে পারি। তারপর অবশ্য সব কিছু ঠিকঠাক হয়ে যায়। সরকারি সব অনুষ্ঠান সঠিক ও সুচারুভাবে পালিত হয়েছে।

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, স্থানীয় পৌরসভার দায়িত্ব ছিল শহীদ মিনার পরিস্কার পরিচ্ছন্নসহ ব্যবহার উপযোগী করা। কিন্তু সেখানকার পৌর প্রশাসন অচল। এ কারণে কিছু মানুষ সংক্ষুবাধ হয়ে এমন কাণ্ড ঘটায়।