যশোরে সয়াবিন তেলের কৃত্রিম সংকট

0

 

শেখ আব্দুল্লাহ হুসাইন ।। যশোর বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের কৃত্রিম সংকট দেখা দিয়েছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন দাম বাড়ানোর জন্য কোম্পানিগুলো উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে। এদিকে, বাজারে আমন ধানের চাল উঠলেও দাম মোটেও কমেনি। সবজির দাম কিছুটা কমলেও আলু ও পেঁয়াজের দাম বেশি। শুক্রবার বড় বাজার ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া যায়।
বড় বাজারে দোকানগুলোতে বোতলজাত সয়াবিন তেল সহজে পাওয়া যাচ্ছে না। বিক্রেতারা বলছেন বোতলজাত সয়াবিন তেল সরবরাহের শর্ত হিসেবে কোম্পানিরা তাদের অন্যান্য প্রোডাক্ট কিনতে বাধ্য করছে। এক বিক্রেতা বলেন, তাকে বোতলজাত সয়াবিন তেল কিনতে কোম্পানির ১০ কেজির প্যাকেট নাজিরশাইল চাল নিতে হয়েছে। তিনি জানান দোকান থেকে তেল বিক্রি হয়ে গেছে, কিন্তু পড়ে রয়েছে নাজিরশাইল চাল। আরেক বিক্রেতা জানান, তাকে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল কিনতে একই কোম্পানির প্রোডাক্ট ৫০ মিলি লিটারের এক বোতল সরিষার তেল কিনতে হয়েছে। বিক্রেতারা তাদের দোকানে বেচাকেনা স্বাভাবিক রাখতে কোম্পানিগুলোর শর্ত মানতে বাধ্য হচ্ছেন।
এ বিষয়ে মেঘনা গ্রুপের ‘ফ্রেশ’ ফর্টিফাইড সয়াবিন তেলের যশোরের বিক্রয় প্রতিনিধি মো. বিপুল হোসেন এ প্রতিবেদককে জানান, বাজারে খোলা সয়াবিন তেলের দাম প্রতি কেজি ১৮৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সেখানে তাদের বোতলজাত সয়াবিন তেলের এক লিটার ১৬৭ টাকায় বিক্রি করে লোকসান হচ্ছে। এ কারণে কোম্পানি উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে।
এদিকে আমন ধানের নতুন স্বর্ণা চাল বড় বাজারে চলে এসেছে। তবে এখনও অন্যান্য চালের দামের ওপর এর কোনো প্রভাব পড়েনি। আগের সেই বাড়তি দামেই চাল বিক্রি হচ্ছে। শুক্রবার বড় বাজারে বাংলামতি চাল প্রতি কেজি মানভেদে ৮০-৮৬ টাকা, মিনিকেট চাল ৬৪-৭২ টাকা, কাজললতা চাল ৬০-৬৬ টাকা, ্িবআর-২৮ চাল ৫৬-৬২ টাকা, বিআর-৬৩ চাল ৬৮-৭২ টাকা, স্বর্ণা (নূরজাহান) চাল ৫২ টাকা ও হীরা চাল ৪৮ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
এছাড়া বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেড়ে গত সপ্তাহ থেকে কিছুটা দাম কমলেও এখনও অনেক সবজিই ৫০-৬০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না। শুক্রবার বড় বাজারে টমেটো প্রতি কেজি ১২০ টাকা, উচ্ছে ১০০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, শিম ৫০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
বাজারে দেশি আলুর পাশাপাশি আমদানি করা আলুর দামও ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। নতুন আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা। বিক্রেতারা বলছেন হিমাগারে আলুর মজুদ কমে যাওয়ায় বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া বাজারে দেশি পেঁয়াজের কেজি ১২০ টাকা, আমদানি করা পেঁয়াজ ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।