চুরি করতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে যশোরে, থাকতেন হোটেল ভাড়া করে!

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সেলিনা খাতুনের পেশা চুরি ছিনতাই। বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ডরমুন্ডা গ্রামে। যশোর শহরে থাকেন আবাসিক হোটেল ভাড়া করে। সোমবার দুপুরে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে এক রোগীর গলা থেকে স্বর্ণের চেইন চুপিসারে ছিড়ে নেওয়ার সময় ধরা পড়ার পর নিজের এ পরিচয় জানান সেলিনা। এসময় তাকে পিটুনি দিয়ে যশোর কোতোয়ালি থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে জনতা।
যশোর সদর উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের আবু তালেবের স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৫০) সোমবার যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। হাসপাতালে মহিলা বর্হিবিভাগের ৪ নম্বর কক্ষে ডা. মাধবী রানীর কাছে চিকিৎসা নিতে যান। এ সময় মানুষের ভিড়ে সুফিয়া বেগমের গলা থেকে এক ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিড়ে নেন সেলিনা।
সুফিয়া বেগম জানান, চেইন ছিঁড়ে নেওয়ার সময় তিনি বুঝতে পারেন এবং ওই নারীকে ধরে ফেলেন। এ সময় অন্য রোগী ও তাদের স্বজনরা জড়ো হয়ে চোর সেলিনা খাতুনকে এলোপাতাড়ি মারপিট করেন । এক পর্যায়ে কর্তব্যরত পুলিশ এসে তাকে (সেলিনাকে) ধরে হাসপাতাল পুলিশ বক্সে নিয়ে যায়। সেখানেও সাধারণ লোকজন তাকে তাকে মারধর করেন।
হাসপাতালে আটক অবস্থায় সেলিনা খাতুন জানান, দুই দিন আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে যশোরে এসেছেন এবং হোটেল ভাড়া করে আছেন। কাজের জন্য মাঝে মাঝে তিনি যশোরে এসে আবাসিক হোটেলে ওঠেন। কাজ শেষ হলে আবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফিরে যান।
ছিনতাই হওয়া চেইনের মালিক সুফিয়া বেগম জানিয়েছেন, তার স্বামী একটি গ্যারেজে কাজ করেন। দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে টাকা জোগাড় করে জীবনে একটা স্বর্ণের চেইন বানিয়েছেন। রোগী দেখাতে এসে সেটি হারাতে যাচ্ছিলেন।
খবর পেয়ে হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ক ডা. হারুন অর রশীদ ঘটনাস্থলে যান। এসময় তিনি বলেন, হাসপাতালে চোর থামানো যাচ্ছে না। তিনি পুলিশকে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলেছেন।
যশোর কোতয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বাবুল হাসান গতকাল রাতে জানান, আটক সেলিনা থানায় রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
গত ৫ নভেম্বর থেকে গতকাল পর্যন্ত হাসপাতালে প্রকাশ্যে ৪ টি ছিনতাই ও চুরির ঘটনা ঘটেছে।