যশোরে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম মাংস বিক্রেতাদের দরে কৌশল

0

শেখ আব্দুল্লাহ হুসাইন যশোরে পেঁয়াজের বাজার আবারও গরম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ১৫ টাকা। এদিকে, কাঠেরপুলে রেটবোর্ডে ৭শ টাকা লেখা থাকলেও গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকায়। কমেছে ডিম ও সবজির দাম। শুক্রবার যশোরের বড় বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির পরও দাম কমার পরিবর্তে বেড়েছে। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১৫ টাকা। একই সাথে আমদানি করা পেঁয়াজেরও দাম বেড়েছে ১০ টাকা। শুক্রবার বড় বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ১৩০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ১১০ টাকা দরে।
খুচরা বিক্রেতা বাদল রাও জানান, আমদানি কম তাই বাজারের চাহিদা মিটছে না। এ কারণে দাম বাড়ছে। পাইকারি বিক্রেতা বড় বাজার কালীবাড়ী এলাকার ‘নিতাই গৌর ভা-ার’ আড়তের অন্যতম স্বত্বাধিকারী নিতাই চন্দ্র সাহা জানান, দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কমে গেছে, তাছাড়া ভারতের পেয়াজের আমদানিও কম। তিনি আরও জানান, রাজবাড়ী জেলার নারুয়া বাজার মোকামে দেশি পেঁয়াজের দাম বেশি। ওই এলাকা থেকে যশোরে পেঁয়াজ আসে। শুক্রবার সেখানে পাইকারি প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে মানভেদে ১২২ থেকে ১৩০ টাকা। তিনি শুক্রবার তার আড়তে দেশি পেঁয়াজ পাইকারি ১২০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। তিনি আশঙ্কা করছেন পেঁয়াজের দাম আরও বাড়বে।
এদিকে যশোর শহরের বিভিন্ন স্থানে গরুর মাংস ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বড় বাজার কাঠেরপুলে রেটবোর্ড টানিয়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়। তবে ৭০০ টাকায় বিক্রেতারা ফ্রেশ মাংস দিচ্ছেন না। হাড়-চর্বি ছাড়া মাংস বিক্রি করছেন ৭৫০ টাকায়। অবশ্য এই রকমফেরটা রেটবোর্ডে লেখা নেই। ক্রেতা শেখ মতিয়ার রহমান কুরবান জানান, রেটবোর্ডে ৭০০ টাকা লেখা থাকলেও হাড়- চর্বি ছাড়া মাংস নিতে তাকে কেজিতে ৭৫০ টাকা দিতে হয়েছে। তিনি বিক্রেতাদের এই চাতুরীর অবসান চান।
সম্প্রতি বড় বাজারে জেলা প্রশাসনের অভিযানে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে ডিম বিক্রির অপরাধে কিছু ব্যবসায়ীকে জরিমানা করার পর প্রতি পিস ডিমে ১ টাকা কমে এসেছে। শুক্রবার খুচরা বিক্রেতা মো. শুভ জানান, যেহেতু সরকারি রেট প্রতি পিস ডিমের খুচরা মূল্য ১১ টাকা ৮৭ পয়সা। কিন্তু খুচরা পয়সার সংকটে তা নেওয়া যাচ্ছে না, তাই তিনি ১২ টাকা বিক্রি করছেন।
কয়েকদফার টানা বৃষ্টিতে কৃষকের নিচু জমির সবজির ক্ষতি হলেও উঁচু জমির সবজির ফলন ভালো হয়েছে। শুক্রবার বড় বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের থেকে প্রতি কেজি সবজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমে বিক্রি হচ্ছে। শুক্রবার খুচরা বিক্রেতা নাসির আলী জানান, তিনি ভালোমানের বেগুন ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছেন। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। কারোলা বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ১২০ টাকা। পটল বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ৭০ টাকা। শসা বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ৭০ টাকা। টমেটো বিক্রি হয়েছে ১৬০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ১৭০ টাকা। ঝিঙে বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ৭০ টাকা।
বড় বাজারের পাইকারি সবজি বিক্রেতা ‘মনিরামপুর ভা-ার’ আড়তের অন্যতম স্বত্বাধিকারী জহিরুদ্দিন কাজল জানান, গত দু দিনের হালকা বষ্টিতে কৃষকের সবজি ক্ষেতের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। উঁচু জমির সবজির সরবরাহ বাজারে বেড়েছে। এ কারণে দাম আর বাড়েনি।