স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো কর্তৃক বাস্তবায়িত ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টায় যশোর জেলা পরিসংখ্যান অফিসের উদ্যোগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
যশোর জেলা পরিসংখ্যান অফিসের উপপরিচালক উর্ব্বশী গোস্বামীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার।
প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনার তথ্য মতে, যশোর জেলার মোট গণনাকৃত জনসংখ্যা ৩০,৭৬,১৪৪ জন। যার মধ্যে পুরুষ ১৫,২৪,৩৪৯ জন এবং নারী ১৫,৫১,৬৬৭ জন। ধর্মভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, বর্তমানে যশোরের মোট জনসংখ্যার ৮৯.৬২% মুসলিম, ১০.১৯% হিন্দু, ০.০১% বৌদ্ধ, ০.১৭% খ্রিস্টান ও ০.০১% অন্যান্য ধর্মাবলম্বী।
যশোর জেলার গড় বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার হ্রাস পেয়ে ০.৯৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে যা ২০১১ সালে ছিল ১.১১ শতাংশ। যশোর জেলার জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১১৮০ জন। জেলার মোট খানার সংখ্যা ৭,৯৮,০৩২। যার মধ্যে ৬,১৩,০৪৮ টি পল্লী এলাকায় ও ১,৮৪,৯৮৪ টি শহর এলাকায় অবস্থিত। জেলায় বর্তমানে খানার গড় আকার ৩.৭৯ । যা ১৯৯১ সালে ছিল ৫.৫০ এবং ২০১১ সালে ছিল ৪.১৭। অপরদিকে, যশোর জেলায় বর্তমানে বাসগৃহের সংখ্যা ৭,৫০,২১০ যার মধ্যে ৬,০৬,৬৫০ টি পল্লী এলাকায় ও ১,৪৩,৫৬০ টি শহর এলাকায় অবস্থিত।
এ এ সময় জেলা প্রশাসক আবরাউল হাছান মজুমদার বলেন, প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি তথ্য মতে আমরা জানতে পেরেছি, যশোরের শিক্ষা, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন হয়েছে। মানুষের মধ্যে উন্নয়ন অগ্রগতির যে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছিল এই জনশুমারি তথ্যের মাধ্যমে তা দূর হয়েছে।