এমপি আনারের হাড়-মাংস টুকরো করা কসাই জিহাদ ভারতে ১২ দিনের রিমান্ডে

0

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ॥ ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত ভারতে গ্রেফতার জিহাদ হাওলাদারের ১২ দিনের পুলিশি (সিআইডি) রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন পশ্চিমবঙ্গের বারাসাত আদালত। শুক্রবার (২৪ মে) দুপুরের দিকে তাকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজিএম) বিচারক শুভঙ্কর বিশ্বাসের এজলাসে তোলা হয়। পরে বিচারক ১২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আদালত সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
এরআগে নৃশংস হত্যার অভিযোগে জিহাদের নামে রাজ্য গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়। তার নামে ভারতীয় দন্ডবিধি অনুযায়ী ৩৬৪, ৩০২, ২০১ ও ১২০বি -এ চার ধারায় মামলা দেওয়া হয়। প্রতিটিই জামিন অযোগ্য ধারা। এর মধ্যে ৩৬৪ ধারা হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ। ৩০২ ধারা অপরাধমূলক নরহত্যা। ২০১ ধারা তথ্য লোপাট, অর্থাৎ অস্ত্র ও মরদেহ পরিকল্পনা করে সরিয়ে ফেলা। ১২০বি ধারা অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র (একাধিক ব্যক্তির সমন্বয়ে)। অর্থাৎ এ ধরনের মামলায় সর্বোচ্চ রায় হিসেবে বিচারক আমৃত্যু যাবজ্জীবন বা মৃত্যুদণ্ড দিতে পারেন। রাজ্য পুলিশ জিহাদকে একজন ‘দক্ষ কসাই’ হিসেবে বিচারকের সামনে পেশ করে। পুলিশের এখন মূল উদ্দেশ্য, মরদেহের অংশ উদ্ধার করা অথবা দেহাংশ সরাতে ব্যবহৃত প্লাস্টিক বা ট্রলি কোথায় তা জানা। সে কারণে পুলিশ জিহাদের রিমান্ড চায়। বৃহস্পতিবার বনগাঁও অঞ্চলের গোপাল নগরে গোয়েন্দা পুলিশের হাতে ধরা পডেন জিহাদ হাওলাদার। তিনি বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন বলে জানায় পুলিশ। পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়, অভিযুক্ত জিহাদ বাংলাদেশি এবং একজন ‘দক্ষ কসাই’। অবৈধভাবে মুম্বাইয়ে বাস করছিলেন তিনি। জেরায় জানিয়েছেন, তার নাম জিহাদ হাওলাদার। পিতা জয়নাল হাওলাদার খুলনার বাসিন্দা। দুই মাস আগে তাকে কলকাতায় নিয়ে আসেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক আখতারুজ্জামান শাহীন। জিহাদ জেরায় আরও স্বীকার করেছেন, শাহিনের নির্দেশে কীভাবে তিনিসহ আরও চারজন এমপি আনারকে ফ্ল্যাটে হত্যা করেন। হত্যার পর তারা ফ্ল্যাটে মরদেহ টুকরো করেন। পরিচয় নষ্ট করার জন্যে মরদেহের মাংস কিমা করে পলি প্যাকে রাখেন, হাড় ছোট ছোট টুকরো করেন। তারপর প্যাকেটগুলো ফ্ল্যাট থেকে বের করে নিয়ে কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চলে ফেলে দেন। পুলিশ জিহাদকে রিমান্ডে নিয়ে আবারো তল্লাশি অভিযান চালাবে বলে জানা গেছে।