দরকার শুধু একটি যাত্রী ছাউনী

0

 

মুকুরুল ইসলাম মিন্টু, চৌগাছা (যশোর) ॥ একটি মাত্র যাত্রী ছাউনী হতে পারে শ-শ পথচারীসহ স্থানীয় কৃষকদের জন্যে আশীর্বাদ। কিন্তু বছরের পর বছর পার হলেও কোন জনপ্রতিনিধি বা সরকারের কোন দয়িত্বশীল ব্যক্তি এটি নির্মানে উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। প্রখর রোদ আর ঝড়-বৃষ্টিতে মানুষকে সীমাহীন কষ্ট সহ্য করতে হচ্ছে। জনকল্যাণে সড়কের পাশে একটি যাত্রী ছাউনী নির্মানের দাবি করেছেন এলাকাবাসী।
চৌগাছা-ঝিকরগাছা সড়কটি জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক। সময়ে-অসময়ে দুই উপজেলার মানুষ সড়কটি ব্যবহার করেন। শুধু তাই না পাশে শার্শা উপজেলার মানুষেও চলাচল রয়েছে সড়কটি দিয়ে। চৌগাছা উপজেলা সদর থেকে রওনা দিয়ে চাঁদপুর গ্রাম পার হলেই মুলিখালী মোড়। একটি বটগাছ ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছে তিন রাস্তার মাঝখানে। বটগাছের পাশ দিয়ে একটি সড়ক বয়ে গেছে বেড়গোবিন্দপুর বাঁওড় ঘেষে উপজেলার ধুলিয়ানী ইউনিয়নে। আর ঝিকরগাছা অভিমুখে সড়কের পাশে অবস্থিত সিংহঝুলী ও পাশাপোল ইউনিয়ন। পাশাপোল ও ধুলিয়ানী ইউনিয়নের হাজারও মানুষ মুলিখালী মোড় হয়ে উপজেলা সদরে আসেন। তিনটি সড়ক দিয়ে মোড়ের বটতলায় পৌঁছাতে প্রত্যেক মানুষকে অন্তত ২/৩ কিলোমিটার ফাঁকা মাঠ পাড়ি দিতে হয়। জরুরি কাজে কোন ব্যক্তিকে বাড়ি হতে বের হয়ে মুলিখালী মোড়ে পৌঁছে যানবাহনের জন্যে অপেক্ষা করতে হয়। এ সময় ওই ব্যক্তিকে হয় দাঁড়িয়ে না হয় বটগাছের শিকড়ে বা সড়কের পাশে বসে অপেক্ষা করতে হয়। বছরের পর বছর এভাবেই পার করেছেন শশ মানুষ। তবে স্বস্তির বিষয় সম্প্রতি মোড়ে দুটি টিনের ছাউনির দোকান হয়েছে। তবে এই দোকান বেশির ভাগ সময় বন্ধ থাকে।
এ সময় স্থানীয় কৃষক আতিয়ার রহমান, আব্দুল আজিজ, জয়ানাল হোসেনের সাথে কথা হয়। তারা বলেন, প্রয়োজনের তাগিদে মানুষ রাতদিন কোন কাজে বাড়ি হতে মুলিখালী মোড়ে এসে অবস্থান করেন। কিন্তু এখানে মানুষের দাঁড়াবার কোন জায়গা নেই।
এ বিষয়ে চৌগাছা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বলেন, আমি নির্বাচিত হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে উপজেলা পরিষদে অনানুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা করেছি। মানুষের কষ্টের দিক বিবেচনা করে আগামী মাসিক সভায় এ নিয়ে আলেচনা করা হবে।