চৌগাছায় স্ত্রী ও টাকা ফিরে পেতে প্রবাসীর সংবাদ সম্মেলন

0

স্টাফ রিপোর্টার, চৌগাছা (যশোর) ॥ চৌগাছায় স্ত্রী ও টাকা ফিরে পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার দিঘড়ী গ্রামের বাসিন্দা প্রবাসী আমিনুর রহমান। শনিবার সকালে চৌগাছা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, আমি স্ত্রীর কাছে বিদেশ থেকে যে টাকা পাঠিয়েছে তা হাতিয়ে নিতে পরিকল্পিতভাবে প্রতারণা করেছে চৌগাছা বাজারের ইলেট্রিক ব্যবসায়ী লিপু খান জীবন। শুধু তাই না আমার স্ত্রীকেও ফুঁসলিয়ে নিয়ে গেছে। সাত বছরের সন্তানটিও মাকে না পেয়ে কষ্টে আছে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, পরিবারে আর্থিক সংকট মোকাবিলায় আমি ২০১৭ সালে মালায়েশিয়া যায়। সেখানে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে আমি টাকা উপার্জন করি। আমার স্ত্রী বিশ্বস্ত হওয়ায় উপার্জিত টাকা স্ত্রী কাছে পাঠাতে থাকি। ৭ বছরে প্রায় ৫৪ লাখ টাকা আমি পাঠায়। টাকার মধ্যে পরিবারে যাবতীয় ব্যয় করেও আমার স্ত্রীর কাছে ১৫ লাখ টাকা অবশিষ্ট ছিল। এছাড়া প্রবাসে থাকাকালীন আমার স্ত্রীকে সোনার গহনা বানিয়ে দিই যার আনুমানিক মূল্য ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা।
তিনি বলেন, সাংসারিক জিনিসপত্র কেনার সূত্র ধরে আমার স্ত্রীর সাথে হুদো হাজীপুর গ্রামের হাসেম খানের ছেলে চৌগাছা বাজারের ব্যবসায়ী লিপু খান জীবনের পরিচয় হয়। এই পরিচয়ের সূত্র ধরেই আমার পাঠানো টাকা হাতিয়ে নেবার জন্য আমার স্ত্রীকে ফাঁদে ফেলে ও ফুঁসলিয়ে চক্রান্ত শুরু করে। এরপর ব্যবসায় মালামাল তোলার নাম করে ধীরে ধীরে কৌশলে সমুদয় টাকা হাতিয়ে নেয় ওই প্রতারক।
একপর্যায় ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে আমার স্ত্রীকে তালাক দেয়। এরপর গত ১০ মাস আগে আমার স্ত্রীকে বিয়ে করে। কিন্তু তালাক ও বিয়ের কোন সত্যতা নেই। যে কাগজপত্র আছে তার সাথে তালাকনামা ও বিয়ের কাগজপত্রের কোন মিল নেই। আমার স্ত্রীর জীবনও হুমকির মুখে। তাকে বাধ্য করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এই বিষয়টি লিখিতভাবে থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে। তারপরও কোন সমাধান হয়নি।বিভিন্ন সন্ত্রাসীদের দিয়ে ভীতির পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে। ফলে আমি জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় আছি। এ সময় তিনি স্ত্রী ও টাকা ফিরে পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে এলাকার লোকজন ও নিকট আত্মীয়রা উপস্থিত ছিলেন।