খুলনা মহানগর বিএনপির প্রস্তুতিসভায় বক্তারা, আওয়ামী লীগের কাছে গণতন্ত্র প্রত্যাশা করা হাস্যকর

0

খুলনা ব্যুরো ॥ সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি ও ভারতের তাবেদারীর কারণে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলো বেসামাল আচরণ করছে উল্লেখ করে খুলনা মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ বলেছেন, মিয়ানমার সীমান্তে আগ্রাসন উত্তেজনা সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ। ভারতীয় সীমান্তেও প্রতিনিয়ত বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মুখে গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, মানবাধিকার, আইনের শাসন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা মানায় না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার আগে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের স্লোগান দেয়! ক্ষমতায় গেলে গণতন্ত্র ভোটাধিকার হরণ করে একদলীয় শাসন কায়েম করে। তাই আওয়ামী লীগের কাছে গণতন্ত্র প্রত্যাশা করা হাস্যকর।
সোমবার দুপুর ১২টার দিকে দলীয় কার্যালয়ে মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাড. শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে এবং মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনের পরিচালনায় কেন্দ্রীয় কর্মসুচি সফল করতে খুলনা মহানগর বিএনপির প্রস্তুতিসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। বক্তারা আরও বলেন, দেশের জনগণ দুর্নীতি, লুটপাট ও অর্থপাচারের কারণে ভয়াবহ অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষ আজ দিশেহারা। নিয়ন্ত্রণহীন কালোবাজারি মুনাফাখোর সিন্ডিকেট গোষ্ঠী। নিয়ন্ত্রণহীন বাজার মূল্যের কারণে সাধারণ মানুষের জীবনযাপন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে ‘মুনাফা শিকারী’ লুটেরাদের হাতে। পণ্য পরিবহনে দুর্নীতি, হয়রানি ও চাঁদাবাজি হচ্ছে। বাজারে অসৎ ব্যবসায়ী ও মুনাফাখোরদের একচেটিয়া প্রভাব কমানো না গেলে দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া নিয়ন্ত্রণে আসবে না।
সভা থেকে ২৮ অক্টোবর পরবর্তী সময়ে মহানগর বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মেঝভাই, অ্যাড. এস আর ফারুক, বিএনপি নেতা লোকমান গাজি, যুবনেতা মাসুম ফরাজী, বিএনপি নেতা কালাম শিকদার, যুবদলের মিজানের ইন্তিকালে এবং ২৮ অক্টোবর পরবর্তী সময়ে কারাগারে পর্যাপ্ত চিকিৎসা বা ওষুধ না পেয়ে এবং পুলিশ রিমান্ডে নির্যাতনের শিকার হয়ে বিএনপির ১৫জন নেতা-কর্মী মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়। সভা থেকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে, দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীর মুক্তি ও ডামি নির্বাচন বাতিলের এক দফা দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে লিফলেট বিতরণ এবং ১৪ ফেব্রুয়ারি মহানগরীর সকল থানা, ওয়ার্ডে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ এবং ১৬ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বাংলাদেশ এবং ভারত ও মিয়ানমার সীমান্ত সংলগ্ন বাংলাদেশের অভ্যন্তরে শহীদ বাংলাদেশিদের স্মরণে বাদ জুমা মসজিদে মসজিদে দোয়া মাহফিলের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভা থেকে মহান ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য ২০ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীদের উপস্থিত, রাত ১২.০১ মিনিটে হাদিস পার্কের শহীদ মিনারে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ এবং ২১ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টায় দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, বেগম রেহেনা ঈসা, কাজী মাহমুদ আলী, আবুল কালাম জিয়া, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন ভিপি হোসেন, শেখ সাদী, হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ, কে এম হুমায়ূন কবির ভিপি হুমায়ুন, শেখ জাহিদুল ইসলাম, মুরশিদ কামাল, কাজী মিজানুর রহমান, হাবিবুর রহমান বিশ্বাস, শাহিনুল ইসলাম পাখি, আরিফ ইমতিয়াজ খান তুহিন, জহর মীর, নাজির উদ্দিন নান্নু, আহসান উল্লাহ বুলবুল, আফসার উদ্দিন, নাসির খান, মিজানুর রহমান মিলটন, শফিকুল ইসলাম শফি, আক্তারুজ্জামান তালুকদার সজীব, ইসতিয়াক আহমেদ ইস্তি, অ্যাড. কানিজ ফাতেমা আমিন প্রমুখ।