ছাত্রলীগ কর্মীর থাপ্পরে কানেরপর্দা ফাটলো ইবি শিক্ষার্থীর

0

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা॥ থাপ্পর দিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষার্থীর কানের পর্দা ফাটিয়ে দিয়েছেন শাখা ছাত্রলীগের এক কর্মী। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর নাম এনামুল হক ইমন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী। রোববার প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযুক্তরা হলেন, লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মিনহাজুল হক রুমন ও ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী বদরুল আমিন পিয়াস। এর মধ্যে মিনহাজুল হক রুমন শাখা ছাত্রলীগের কর্মী ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের অনুসারী বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী।
অভিযোগে জানা যায়, গত ১৮ নভেম্বর আনুমানিক রাত ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় এলাকা দিয়ে মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন ভুক্তভোগী ইমন। তখন অভিযুক্ত বদরুল আমিন পিয়াস ভুক্তভোগীর পথ রোধ করে বাইক থামাতে বলেন। সেখানে পিয়াসের সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে ভুক্তভোগী চলে যেতে শুরু করেন। তার কিছক্ষণ পরেই অভিযুক্ত মিনহাজুল হক রুমন নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তার কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে ভুক্তভোগীর ওপর হামলা করেন। এ সময় ইমনের বাম কানে প্রচন্ড আঘাত লাগে। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে বলেন। তবুও অসুস্থ অনুভব করায় ইমনকে নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞকে দেখাতে বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল চিকিৎসক ডা. রবিউল ইসলাম। পরবর্তীতে কুষ্টিয়ায় নাক, কান, গলা বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ডা. এম. এ. মান্নানকে দেখালে তিনি কানের পর্দা ফেটে গিয়েছে বলে নিশ্চিত করেন। এ কারণে তিনি অপারেশন করার পরামর্শ দেন। অভিযোগে ভুক্তভোগী অভিযুক্তের আইনের আওতায় সর্বোচ্চ বিচার ও তার অপারেশনের জন্যে ক্ষতিপূরণের দাবি জানান।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী এনামুল হক ইমন বলেন, ওখানে আমার কোন দোষ ছিল না। হঠাৎ রুমন ভাই এসে আমাকে মারধর করেন। এতে আমার কানের পর্দা ফেটে যায়। আমি আমার অপারেশনের পুরো খরচসহ কর্তৃপক্ষের কাছে দোষীদের সর্বোচ্চ বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে ইবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, সে আমাদের কর্মী না। লালন শাহ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।
এদিকে অভিযুক্ত মিনহাজুল হক রুমনকে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেন নি।
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ এসেছে। পরবর্তী প্রক্টরিয়াল বডির মিটিংয়ে বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।