বেনাপোলে সুমন হত্যাকাণ্ড : ঢাকা থেকে শার্শার স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়কসহ আটক ৩

0

স্টাফ রিপোর্টার॥ চোরাচালানের ৩ কেজি সোনার বার আত্মসাতের অভিযোগে বহনকারী ওমর ফারুক সুমনকে হত্যার প্রধান আসামি শার্শা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক ও বেনাপোল পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কামাল হোসেনসহ ৩ জনকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ।  সোমবার দুপুরে ঢাকার আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। পরে তাদের স্বীকারোক্তিতে বেনাপোল থেকে হত্যায় ব্যবহৃত লোহার পাইপ, প্লাস ও লাশ গুমে ব্যবহৃত প্রাইভেটকার জব্দ করেছে ডিবি পুলিশ।
আটক স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা কামাল হোসেন (৪০) শার্শা উপজেলার বড়আঁচড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে। অপর আটকরা হলেন, সাদিপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে ইজাজ (২৪) ও রফিজুল ইসলামের ছেলে ইসরাফিল (২৯)।
ডিবি পুলিশ জানায়, তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মুরাদ হোসেনের নেতৃত্বে এসআই শফি আহমেদ রিয়েল ও এসআই শামীম হোসেন চাঞ্চল্যকর ওমর ফারুক সুমন অপহরণ ও হত্যা মামলার প্রধান আসামি কামাল হোসেনসহ অন্যদের ধরতে সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকার আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকায় অভিযান চালান। তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে কামাল হোসেন, ইজাজ ও ইসরাফিলকে আটক করা হয়। আটকের পর তাদের স্বীকারোক্তিতে বেনাপোল বাসটার্মিনালের সামনে থেকে লাশ গুমে ব্যবহৃত ১টি প্রাইভেটকার এবং গাজীপুরের শাহাবুদ্দিনের বাড়ির ছাদের ওপর থেকে হত্যায় ব্যবহৃত ১টি লোহার পাইপ ও ১টি প্লায়ার্স জব্দ করা হয়। এছাড়া আটক কামাল হোসেনর কাছ থেকে জব্দ করা তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে ওমর ফারুক সুমনকে নির্যাতনের ধারণকৃত ভিডিও পাওয়া যায়।
সূত্র আরও জানায়, আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশ জানতে পারে যে, চোরাচালানীদের সোনার ৩৫টি বার খোয়া যাওয়ায় এ জন্য তারা ওমর ফারুক সুমনকে সন্দেহ করেন। এ কারণে তারা তাকে মারধর করেন এবং খোয়া যাওয়া সোনা উদ্ধার না হওয়ায় পরে হত্যা করে লাশ মাগুরায় নিয়ে ফেলে রেখে আসেন।
উল্লেখ্য, গত ১৬ নভেম্বর দুপুরে মাগুরা সদর উপজেলার রামনগর নামক স্থানে ঝিনাইদহ সড়কের একটি ঝোপের ভেতর থেকে নিহত ওমর ফারুক সুমনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ইতঃপূর্বে ৫ জনকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। সোমবার আরও ৩ জন ধরা পড়ায় এ নিয়ে ওমর ফারুক সুমন হত্যায় ৮ জন আটক হলো।