যশোরে হরতালের প্রথম দিন শান্তিপূর্ণভাবে অতিবাহিত

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ও একতরফা প্রহসনের নির্বাচনের তফসিল বাতিলের দাবিতে বিএনপির ডাকে যশোরের সর্বাত্মক শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালিত হয়েছে প্রথম দিন। বিএনপি ঘোষিত টানা দ্বিতীয় দিনের হরতালের প্রথম দিন রোববার সকাল থেকে সর্বত্র দলীয় নেতাকর্মীরা হরতালের সমর্থনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে নেমে আসেন। জেলা সদর থেকে শুরু করে উপজেলা সদরে দলীয় নেতাকর্মীরা দিন ব্যাপী খন্ড খন্ড মিছিল করে যশোরের রাজপথকে প্রকম্পিত করেন।
বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেন, শান্তিপূর্ণ ও দেশ বাঁচানোর হরতাল কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে যশোরের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তান্ডব অব্যাহত ছিল। সেই সাথে ছিল শাসকদলের সন্ত্রাসীদের অপতৎপরতা। শাসক দলের সন্ত্রাসীরা হরতালের আগের রাতে যশোর শহরের ঘোপ পিলু খান সড়কে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের বাসভবনে বোমা হামলা চালায়। তবে কোন কিছু বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি গণতন্ত্র ও মুক্তিকামী জনতার সামনে। যশোর শহরের ব্যবসায়ীরা নিজ নিজ উদ্যোগে তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখেন। সেই সাথে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরাও নিজ উদ্যোগে যান চলাচল বন্ধ রাখেন।
রোববার হরতালের সমর্থনে যশোর নগর বিএনপি শহরের বিভিন্ন সড়কে মিছিল করে। জেলা ছাত্রদলও শহরের বিভিন্ন সড়কে মিছিল করে। যশোর-নড়াইল সড়কে সদর উপজেলা যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল যৌথ মিছিল করে। যশোর-খুলনা মহাসড়কে নওয়াপাড়া পৌর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন হরতালের সমর্থনে মিছিল করে। যশোর-চৌগাছা সড়কেও হরতালের সমর্থনে মিছিল হয়।
এদিকে দুুপুরের পর থেকে যশোর শহরের ভোলা ট্যাংক রোড, সিভিলকোর্ট মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে দফায় দফায় হরতালের সমর্থনে মিছিল হয়।
রোববার পুলিশ অভিযান চালিয়ে যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়া ইউনিয়ন যুবদল নেতা হারুন বিশ্বাস, শার্শা উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা ডাবলু খাঁ,শার্শা ইউনিয়ন যুবদল নেতা তারিকুল ইসলাম, চৌগাছা উপজেলার চৌগাছা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা শান্ত মেম্বারকে আটক করে। এছাড়া চৌগাছা পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব মেহেরান হাসান জিতুর বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে না পেয়ে তার বৃদ্ধ মায়ের সাথে চরম অসৌজন্যমূলক আচরণ করে।

যশোর শহরের হাজী মুহাম্মদ মহসিন রোড, কাপুড়িয়াপট্টি,এমকে রোড, আর এন রোড,এম এম আলী রোড,মুজিব সড়কসহ বিভিন্ন স্থানের ব্যবসায়ীরা জানান,তারা নিজ উদ্যোগে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখেন। রোববার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যশোরের সব সড়ক- মহাসড়কে যাত্রীবাহী পরিবহন বন্ধ ছিল। এদিন বেলা তিনটার দিকে যশোর শংকরপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, টার্মিনালের বিশাল জায়গা জুড়ে সারিবদ্ধভাবে শ শ বাস দাঁড়িয়ে আছে। পরিবহন শ্রমিকরা বাস ধোয়া মোছার মধ্য দিয়ে সময় পার করছেন। এদিন সকাল থেকে জেলার সকল সড়ক-মহাসড়ক দিয়ে কোন পণ্যবাহী পরিবহন চলাচল করতে দেখা যায়নি।