যশোরে রাজনীতিকদের তফসিল ঘোষণার বিরুপ প্রতিক্রিয়া

0

মাসুদ রানা বাবু ॥ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর যশোরের রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে শুরু করে সর্বক্ষেত্রে উত্তাপ ছড়িয়েছে। সচেতন এই জেলার রাজনৈতিক ব্যক্তিরা যার যার অবস্থান থেকে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তারা বলছেন, দীর্ঘ এক যুগের অধিক সময় ধরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে চরম স্থবিরতা। যেখানে কার্যত জনগণের ভোটাধিকার, মৌলিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার,আইনের শাসন,বাক স্বাধীনতা নেই। জনগণের সেই অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকারের প্রধান বিরোধী শক্তি বিএনপিসহ সমমনা অন্যান্য রাজনৈতিক শক্তি রাজপথে নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছে। কেবলমাত্র জনগণের দ্বারা নির্বাচিত একটি সরকার এই সংকট থেকে উত্তরণ ঘটাতে পারে। সেই সংকট উত্তরণের পূর্বশর্ত একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন।
সেই লক্ষ্যে যখন দেশের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি বিএনপিসহ সমমনা অন্যান্য রাজনৈতিক শক্তি রাজপথে চূড়ান্ত আন্দোলন করছে, ঠিক তখনই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের শীর্ষ নেতাদের কারারুদ্ধ করে রেখেছে। এমন অবস্থার মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। গত বুধবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণার পর থেকে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের উত্তাপ ছড়িয়েছে,তা নিয়ে কথা বলেছেন দেশের দক্ষিণের এই জেলার রাজনীতিকরা।
তারা বলেছেন, বতর্মান সরকার অনেক আগেই রাষ্ট্রপরিচালনায় সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে। সীমাহীন,লুটপাট,দুর্নীতি, অর্থপাচারের মাধ্যমে দেশকে একেবারে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। সেই সাথে দেশের ভিন্নমতের ওপর সর্বোচ্চ দমন পীড়ন অব্যাহত রেখেছে। ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের মত আবারও সাজানো পাতানো প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা ধরে রাখতে চায়। তাদের ক্ষমতা ধরে রাখার প্রবণতা দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
এ বিষয় বিপ্লবী কমিউনিস্ট লিগের সাধারণ সম্পাদক ইকবার কবির জাহিদ বলেন, প্রহসনের নির্বাচনের তফসিল জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশকে একটি ভয়াবহ সংঘাতময় পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিয়েছে। আমরা সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারে দাবিতে আন্দোলন করছি। সে কারণে আমরা নির্বাচন কমিশনকে বলেছিলাম বর্তমান সরকারের তলপিবাহক না হয়ে যতক্ষণ পর্যন্ত অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত তফসিল ঘোষণা না করতে। কিন্তু উনি কথা রাখেননি। তিনি দেশের সকল বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি ও জনগণের মতামতকে উপেক্ষার ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের মত আবার নীল নকশার নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে অবৈধ ভাবে ক্ষমতায় যাওয়ার পথ সুগম করে দিয়েছেন। শেখ হাসিনা জানে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে উনার ভরাডুবি হবে। আমি তফসিল স্থগিতসহ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সকল বিরোধী মতের রাজনৈতিকদের মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার দাবি জানাচ্ছি। যতক্ষণ না এই সরকারের পতন নিশ্চিতসহ সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।
জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি অ্যাড.আবুল হোসেন বলেন, এই তফসিল দেশের চলমান রাজতৈনিক সংঘাতকে উস্কে দিলো। এর মাধ্যমে দেশে চলমান রাজনৈতিক সংকট সমাধান দূরে থাক আর ঘণীভূত হবে। জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটার প্রশ্নউ ওঠে না বরং ক্ষমতা আঁকড়ে ধরার লক্ষ্যে প্রহসনমূলক নির্বাচনের তফসিল এটি।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ যশোর জেলা শাখার সভাপতি মিয়া আব্দুল হালিম বলেন, এই সরকারে অধীনে কোনো নির্বাচন চাই না। আমরা জাতীয় সরকারের অধীনে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য রাজপথে অনঢ় আছি, অনঢ় থাকবো। এই সরকার এবং বর্তমান আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের অধীনে কো