মারধরের প্রতিশোধ নিতে কিশোর দোকান কর্মচারীকে হত্যা

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর শহরের চুড়িপট্টিতে কিশোর দোকান কর্মচারী রাজিম খুনের নেপথ্যে পূর্বের মারধরের প্রতিশোধ বলছে পুলিশ। ওই খুনের ঘটনায় জড়িত কিশোর সন্ত্রাসী আটকেরও দাবি করেছেন কোতয়ালি থানা পুলিশের ওসি মো. আব্দুর রাজ্জাক। আটক কিশোরের নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে একটি নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে জানা গেছে আটক দুই জন হচ্ছে শহরের বারান্দিপাড়া মোল্লাপাড়ার ইয়ামিন ও রায়হান।
গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে চুড়িপট্টিতে প্রতিপক্ষ কিশোর সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে খুন হয় রাজিম নামে ওই কিশোর। সে চুড়িপট্টির ভাই ভাই হোসিয়ারি স্টোরের কর্মচারী ছিলো। তাকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা সেখানকার একটি প্রসাধনী দোকানের সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, কয়েকজন কিশোর সন্ত্রাসী রাজিমকে মারধর করছে। এর মধ্যে ছোট এক কিশোর সন্ত্রাসীকে তাকে বেশি মারধর করতে দেখা যায়। এক পর্যায়ে রাজিমকে ছুরিকাঘাত করে বিপি স্টোরের দিকে দ্রুত চলে যায় কিশোর সন্ত্রাসীরা।
শহরের অন্যতম ব্যস্ততম এলাকা বড়বাজারের চুড়িপট্টিতে খুনের ঘটনাটি সর্বত্র ব্যাপক আলোচিত হচ্ছে। ব্যবসায়ীরাও বড়বাজার এলাকার ওই খুনের ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
রাজিম হত্যার কারণ সম্পর্কে শুক্রবার সন্ধ্যায় কোতয়ালি থানা পুলিশের ওসি মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, রাজিমের বাড়ি ঝুমঝুমপুর এলাকায়। ইতঃপূর্বে হত্যার সাথে জড়িত কিশোর সন্ত্রাসীদের রাজিম মারধর করেছিলো বলে জানা গেছে। এরই জের ধরে হত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে তারা প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছেন। তিনি বলেন, হত্যার সাথে জড়িত কিশোর সন্ত্রাসীকে পুলিশ আটক করেছে। মামলা দায়েরেরও প্রস্তুতি চলছে। আটক সন্ত্রাসী সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।
সদর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইনসপেক্টর আব্দুল আলীম জানান, ঝুমঝুমপুর এলাকায় হত্যার সাথে জড়িত সন্ত্রাসী ও নিহত রাজিমের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছিলো। এরই জের ধরে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এই হত্যার সাথে বারান্দী মোল্লাপাড়া ও ঝুমঝুমপুর এলাকার সন্ত্রাসীরা জড়িত। তাদেরকে ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।