দুই সংস্থা দাবি করছে একই জনকে আটকের যশোরে বিএনপির ১২ নেতা-কর্মী আটক

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরে কথিত নাশকতার মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঝিকরগাছার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সাবিরা সুলতানা মুন্নিসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ১২ নেতাকর্মীকে আটক করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এর মধ্যে ৬ জনকে র‌্যাব ও পুলিশ দুই সংস্থাই আটকের দাবি করেছে।
রোববার র‌্যাব-৬ সিপিসি-৩ যশোর ক্যাম্পের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে তারা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যশোর শহরের ঘোপ জেল রোড এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় সেখান থেকে ঝিকরগাছা থানার নাশকতার মামলার আসামি সাবিরা সুলতানা মুন্নিকে আটক করে। সাবিরা সুলতানা মুন্নি বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঝিকরগাছার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান।
র‌্যাবের অপর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত পৌনে ১২টা পর্যন্ত যশোর শহরের নীলগঞ্জ, বেজপাড়া ও উপশহর এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে নাশকতার মামলার ৮ আসামিকে তারা আটক করেন। এরা হলেন সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার ও বিএনপি নেতা মকবুল মোল্লা, যশোর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ জসিম, জেলা যুবদলের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক সানি আহমেদ সানি, জেলা যুবদলের সদস্য শেখ সুলতান আহমেদ, নগর যুবদলের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল বাবু, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক সজিব আনোয়ার, সহ-সভাপতি মারুফ বিল্লাল সিদ্দিকী সানি ও সদর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা বিএনপি নেতা শামসুর মোল্লা।
এদিকে মারুফ বিল্লাল সিদ্দিকী সানিকে কোতয়ালি থানা পুলিশের এসআই আসাদুজ্জামান আটক করেছেন বলে দাবি করেছেন। রোববার সন্ধ্যায় যোগাযোগ করা হলে এসআই আসাদুজ্জামান দৈনিক লোকসমাজকে জানান, গত শনিবার রাতে মারুফ বিল্লাল সিদ্দিকী সানিকে তিনি উপশহর এলাকা থেকে আটক করেছেন। অথচ তিনি আটক মারুফ বিল্লাল সিদ্দিকীকে রোববার আদালতে সোপর্দের চালান কপিতে উল্লেখ করেছেন যে, ৫ নভেম্বর রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপশহর এলাকা থেকে মারুফ বিল্লাল সিদ্দিকী সানিকে আটক করেছেন।
বিএনপি নেতা শামসুর মোল্লা ও নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার ও বিএনপি নেতা মকবুল মোল্লাকে আটকের দাবি করেছেন সদর উপজেলার বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মো. কামরুজ্জামান। এই দুই জনকে রোববার আদালতের সোপর্দের চালান কপিতে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, গত শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে গতকাল ভোর পর্যন্ত পৃথক অভিযান চালিয়ে নিজ নিজ বাড়ি থেকে আটক করেন।
অপরদিকে ইব্রাহিম খলিল বাবু, শেখ সুলতান হোসেন ও সানি আহমেদ সানিকে আটকের দাবি করেছেন কোতয়ালি থানা পুলিশের এসআই মিহির মন্ডল। এই ৩ জনকে রোববার আদালতের সোপর্দের চালান কপিতে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, গতকাল ৫ নভেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের বকচর এলাকা থেকে তাদের আটক করেন।
এছাড়া পুলিশের হাতে আটক অপর ৩ জন হলেন, শহরের শংকরপুর চোপদারপাড়া আকবরের মোড় এলাকার মেহেদী হাসান, সদর উপজেলার গাইদগাছি গ্রামের নুর মোহাম্মদ ও মশিয়ার রহমান। এদেরকেও কথিত নাশকতার মামলায় রোববার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।