দর্শনায় ভাই-ই হত্যা করেছে বোনকে

0

 

রিফাত রহমান, চুয়াডাঙ্গা॥ মামলা রুজুর ৭ ঘন্টা পর পুলিশি তদন্তে জানা গেল চুয়াডাঙ্গার দর্শনা পৌর এলাকার মোহাম্মদপুরপাড়ায় বোন মিম আক্তার মঞ্জুরার (২৮) হত্যাকারী তার সেই আহত ভাই আলমগীর কবীর। বোনকে হত্যার পর আহতের নাটক সাজায় সে।
সোমবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মো. নাজিম উদ্দীন আল আজাদ এ তথ্য জানান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, নিহত মিম আক্তার মঞ্জুরার স্বামী সুরুজ মিয়া ও আশপাশের লোকজনের বক্তব্য পর্যালোচনা এবং তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিশ্চিত হন যে, শনিবার (২১ অক্টোবর) রাতে আলমগীর কবীর তার বোন মিম আক্তার মঞ্জুরাকে হত্যা করেন। পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তিনি স্বীকার করেন যে, বিয়ের পর থেকেই স্বামীসহ তার বোন মিম এক সঙ্গে তাদের বাড়িতে বসবাস করতেন। বোন মিম তার আপন খালাতো বোনের স্বামীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তিনি তাকে পরকীয়া থেকে ফিরে আসতে বারবার সর্তক করেন। কিন্তু তার বোন প্রেমের সম্পর্ক থেকে ফিরে আসতে নারাজ ছিলেন। তারা প্রতিনিয়ত মোবাইল ফোনে কথা বলতো। তিনি রাগের বশবর্তী হয়ে বোন মিমকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক শনিবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে বোন মিমকে কৌশলে বাড়ির পাশে আমবাগানে ডেকে নিয়ে যান এবং কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে মিমের ওড়না দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ বেগুন ক্ষেতে নিয়ে যান। সেখানে ধারালো দা দিয়ে তিনি তার বোন মিমের গলাকেটে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। পরবর্তীতে ঘটনা অন্যদিকে প্রবাহিত করার জন্যে আলমগীর ওই দা দিয়ে নিজের মাথায় তিনটি পোঁচ দেন এবং আমগাছে থাকা দড়ি নিয়ে নিজে নিজেই হাত-পা বেঁধে চিৎকার করতে থাকেন। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করলে অপহরণের নাটক সাজিয়ে তিনি তাদের বিভ্রান্ত করেন। ঘটনার বিষয়ে আদালতের বিচারকের কাছে আলমগীর হত্যার দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি দেয়ার পর তাকে কারাগাওে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। এছাড়া এ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা ও রক্তমাখা জামাকাপড় আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।