বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সহকারী কমিশনার পরিচয়ে প্রতারণা অভিযোগে যশোরে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

0

 

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সহকারী কমিশনার পরিচয়ে প্রতারণা এবং চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার যশোরের আদালতে মামলা করেছেন আবু সাঈদ নামে এক ব্যক্তি। তিনি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার সাদিকপুর গ্রামের সাকাওয়াতের ছেলে। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইমরান আহমেদ অভিযোগের তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ডিবি পুলিশকে আদেশ দিয়েছেন।
অভিযুক্তরা হলেন, যশোর সদর উপজেলার নাটুয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সুজন মন্ডল এবং তার পিতা সুভাষ মন্ডল।
আবু সাঈদ মামলায় উল্লেখ করেছেন, অভিযুক্ত সুজন মন্ডল ও সুভাষ মন্ডল তার পূর্ব পরিচিত। এর মধ্যে সুজন মন্ডল নিজেকে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সহকারী কমিশনার বলে পরিচয় দেন। তিনি আবু সাঈদকে জানান, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন অফিসে আউট সোর্সিংয়ে চাকরি পাইয়ে দিতে পারবেন। এ জন্য সুজন মন্ডল ও তার পিতা সুভাষ মন্ডলকে ৭ লাখ টাকা দিতে হবে। তার এই কথায় বিশ্বাস করে ২০১৯ সালের ২৫ জানুয়ারি তাদের ৫ লাখ টাকা দেন আবু সাঈদ। শর্ত ছিলো, তারা ৩ মাসের মধ্যে আবু সাঈদকে চাকরি পাইয়ে দিবেন। কিন্তু ৩ মাস পার হলেও তারা তাকে চাকরি দিতে ব্যর্থ হন। এরপর আবু সাঈদ চাকরির বিষয়ে জানতে চাইলে তারা তার কাছে বাকি ২ লাখ টাকা দাবি করেন। এ সময় আবু সাঈদকে আশ্বস্ত করা হয় যে, বাকি ২ লাখ টাকা পেলে তারা তাকে ২ মাসের মধ্যে চাকরি পাইয়ে দিবেন। ফলে তাদের কথায় বিশ্বাস করে একই বছরের ১৫ জুলাই আরও ২ লাখ টাকা দেন। কিন্তু ২ মাস পার হয়ে গেলেও তারা তাকে চাকরি দিতে ব্যর্থ হন। ওই ঘটনার পর আবু সাঈদ দীর্ঘদিন ধরে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। সর্বশেষ গত ১৩ অক্টোবর দুপুরে আবু সাঈদ নাটুয়াপাড়া গ্রামে অভিযুক্তদের বাড়িতে গিয়ে তাদের দেখা পান। এ সময় তিনি তাদের কাছে চাকরির জন্য দেওয়া ৭ লাখ টাকা ফেরত চান। কিন্তু তারা টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন এবং তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। যে কারণে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন আবু সাঈদ।