মানসম্মত শিক্ষার বিদ্যাপীঠ চৌগাছা সরকারি কলেজ

0

মুকুরুল ইসলাম মিন্টু, চৌগাছা (যশোর) ॥ চৌগাছা ডিগ্রি কলেজটি এখন চৌগাছা সরকারি।এ জনপদের সব শ্রেণি- পেশার মানুষের কাছে প্রিয় এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৭২ সালে কতিপয় শিক্ষানুরাগী গোলপাতার ছাউনি আর বাঁশের চাচের বেড়া দিয়ে নির্মাণ করেন কলেজটি। নামকরণ হয় চৌগাছা কলেজ। এখন চৌগাছা সরকারি কলেজ। প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে মানম্মত শিক্ষাদানে রেখেছে ভূমিকা।
১৯৭২ সালে চৌগাছা-যশোর সড়কে ৫ একর ১৫ শতক জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয় চৌগাছা কলেজ। পরবর্তীতে ডিগ্রি কলেজ। চৌগাছা পৌরসভার বর্তমান মেয়র নুর উদ্দিন আল মামুন হিমেলের পিতা- চাচাদের দেয়া জমিতে কলেজটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিষ্ঠাকালীন অধ্যক্ষ ছিলেন খান রফিক আহমেদ। শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল অর্ধশত। এক সময়ের গোলপাতার ঘর এখন অট্টালিকা। বর্তমানে সরকারি কলেজে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পরিশ্রম, দিক নির্দেশনা আর শিক্ষকদের আন্তরিকতায় প্রতি বছর পাবলিক পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা আশানুরূপ ফলাফল অর্জন করেন। কলেজের মুখ উজ্জল রেখেছে। এখানকার শিক্ষার্থীরা বুয়েট, মেডিকেল কলেজসহ ঢাকা বিশ্ববদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাচ্ছেন।
সরেজমিন দেখা যায়, পরিচ্ছন্ন এক পরিবেশ। বিশাল খেলার মাঠ। চারিদিক প্রাচীর ঘেরা। একাধিক দ্বিতল ভবন। কলেজের পশ্চিম পাশে একটি ছাত্রবাস নাম শহীদ জিয়া ছাত্রবাস। দূরের অন্তত অর্ধশত শিক্ষার্থী এই ছাত্রবাসে থেকে পড়ালেখার সুযোগ পাচ্ছেন। ২০১৮ সালের ৮ আগস্ট চৌগাছা ডিগ্রি কলেজ সরকারি হওয়ার গৌরব অর্জন করে। প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে মানসম্মত শিক্ষাদানের যে সুনাম ছিল তা সরকারি হওয়ার পরও অক্ষুণ্ন আছে।
কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী  শাহানুর আলম উজ্জ্বল বলেন, চৌগাছা সরকারি কলেজ আমাদের গৌরব ও অহংকারের একটি প্রতিষ্ঠান। পৌরসভার সাবেক মেয়র সেলিম রেজা আওলিয়ার বলেন, সীমান্তবর্তী উপজেলা চৌগাছার একমাত্র কলেজ ছিল চৌগাছা ডিগ্রি কলেজ। এখান থেকে অনেকেই শিক্ষা নিয়ে আজ দেশ কিংবা বিদেশে সুনামের সাথে কাজ করছেন।
কলেজ শিক্ষক আনোয়ারুল ইকবাল বলেন, কলেজের সুনাম ধরে রাখতে আমরা সকল শিক্ষক কর্মচারী দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সরকারি হওয়ার পর দায়িত্ববোধ আরও বেড়ে গেছে।
সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, কলেজের সকল শিক্ষক- কর্মচারীদের আন্তরিকতা এবং চৌগাছার সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিনিয়ত সাফল্য অর্জন করছে।