পরকীয়া প্রেমিকের মরদেহের পাশেই খিচুরি রান্না করছিলেন সুমি

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ বাড়ির উঠানে পরকীয়া প্রেমিকের হাত-পা ভাঙা রক্তাক্ত মরদেহ রেখে পাশেই রান্না ঘরে খিচুরি রান্না করছিলেন গৃহবধূ সুমি। পরে সাংবাদিক ও পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান তিনি। কুষ্টিয়ার কুমারখালী পৌরসভার তেবাড়িয়া গ্রামের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের জালাল মোড় এলাকায় বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহত যুবকের নাম স্বপন আলী (২৭)। তিনি চুয়াডাঙা জেলার দর্শনা উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে। আর সুমি খাতুন জালাল মোড় এলাকার মৃত চয়ন শেখের ছেলে আসাদ শেখের স্ত্রী। তারা সম্পর্কে চাচাতো ভাই বোন এবং তাদের মধ্যে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে জানান স্বজনরা। তিন মাস আগেও বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর উভয়পক্ষের অভিভাবকদের সঙ্গে বসে মীমাংসা করে দেন।
পুলিশ ও স্বজনদের ভাষ্য, পরকীয়া প্রেমের জেরে চাচাতো বোনের শ্বশুর বাড়ির লোকজন যুবককে পিটিয়ে হত্যা করে উঠানে মরদেহ ফেলে রেখে পালিয়েছে।
কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আকিবুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে আসাদের বাড়ির উঠান থেকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত যুবকের মাথার চুল কাটা ও শরীরের একাধিক স্থানে আঘাতের চিহ্ন ও রক্ত রয়েছে।
তিনি জানান, চাচাতো বোনের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের জেরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। ইতিমধ্যে পিবিআই তদন্ত শুরু করেছে। মামলার পরে অধিকতর তদন্ত শেষে নিশ্চিত করে বলা যাবে।